চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাধনপুরে পৈত্রিক জায়গাতে চলাচল পথ নিয়ে আপন ভাই-বোনদের বিরোধের জেরে মারামারি ঘটনা ঘটে, এতে গুলশান আরা নামে এক নারী আহত হয়।
২৫ নভেম্বর (শনিবার) দুপুরে উপজেলার সাধনপুর ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের জমহুরিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সওদাগর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। আহত গুলশান আরা বেগম প্রভাসী নুরুল আবছারের স্ত্রী।
আহত গুলশান আরা বেগমের ছেলে আব্দুল মান্নান বলেন, আমার বাবা প্রবাসে থাকেন, আমরাও পড়া লেখা ও পেশাগত কারণে শহরে থাকি, আমরা নতুন ঘর করেছি, সেই ঘরের চিপটি ট্যাংকির ঢালাইড় ও ঘর থেকে বের হওয়ার যে চলাচল পথ রয়েছে সেটির সংস্কার করতেছি, এবি বিষয়ে সাম্প্রতিক বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে, এবং সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ সহকারে ভাগ বাটোয়ারা হয়েছে, তবুও আমার চাচা- ফুফিরা আমাদের চলাচল পথ বন্ধ করে দিচ্ছে, ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছেনা। আজকে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে আমার মাকে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, আমার মায়ের অবস্থা গুরুতর হওয়াতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক চমেক হাসপাতালে রেফার করেছে। ইতিপূর্বেও তারা আমার মাকে অনেক বার মারধর করছে, এমনকি আমাদের সবাইকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তারা বার বার হামলাসহ নির্যাতন চালাচ্ছে, ইতিপূর্বে এবিষয়ে তাদরকে আদালত তাদেরকে সাজাও দিয়েছিল, কিন্তু আমার বাবার ভাই -বোন হওয়াতে তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিল বাবা। বাবার সরলতার সুযোগ নিয়ে তারা আজকে আবারও আমার মাকে মাথা ফাটিয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী চাই। এই ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান আহতের পরিবার।
তবে অপরপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র যায়, পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ভাই-বোনদের দ্বন্দ্ব চলছিল, এবিষয়ে স্থানীয় ভাবে অনেক সালিশ বিচার হয়েছে, প্রবাসী নুরুল আবছার তাদের পুরানো বসতঘর সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে যে নতুন ঘর করতেছে তাও তাদের পৈত্রিক জায়গা। পুরাতন বসতঘরের উঠান ব্যতীত ঘর থেকে বের হওয়ার আলাদা কোন পথ ছিলোনা। সবাই উঠান হয়ে চলাচল করে থাকি। কিন্তু আমাদের অপরাপর ভাই-বোনদের জায়গা বুঝিয়ে না দিয়ে বহিরাগত লোকজন নিয়ে আমাদের জায়গার উপর নতুন রাস্তা করাতে আমরা বাঁধা দিয়েছি, এতে নুরুল আবছারের স্ত্রী গুলশান আরা ও তার ছেলে বহিরাগত লোকজন নিয়ে জুনু বেগম ও কুমকুম বেগম চুল ধরে টানা হেঁচড়া করাতে এই ঘটনা ঘটেছে।
রামদাস মুন্সির হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর তপন কুমার বাকচী বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়,
এটা মুলত তাদের পৈত্রিক সত্ব সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে দুপক্ষের মহিলারা এই ঘটনার সৃষ্টি করছে, মীমাংসা করে দেয়ার জন্যে তাদের দুই পক্ষকে আসতে বলেছি, ওসি স্যারসহ উপস্থিত থেকে তাদের দুপক্ষের অভিযোগ শুনে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত থানায় লিখিত কোন অভিযোগ দেয়ার কোন সংবাদ পাননি বলেও জানান তপন কুমার।
এ জাতীয় আরো খবর ....