চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন সুমুরদিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম এর কন্যা মোছাঃ ফারহানা খাতুন (২২)-এর সাথে দর্শনা থানাধীন তিতুদহ মন্ডলপাড়া গ্রামের সামসুল মন্ডলের ছেলে মোঃ সোহেল রানা (২৭) এর ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ০৪ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। সংসার জীবনে সিনথিয়া বিনতে সিমি(১) নামে তাদের একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে ফারহানা ও স্বামী সোহেল রানা মধ্যে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে ফারহানাকে মারপিট করে শিশু কন্যা সন্তানসহ তার পিতার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এমতাবস্থায় মোছাঃ ফারহানা খাতুন তার স্বামী-সংসার ফিরে পাওয়ার জন্য পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সম্মানিত অভিভাবক আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা, পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা উক্ত অভিযোগটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থিত ‘উইমেন সাপোর্ট সেন্টার’ এর মাধ্যমে ২৩ নভেম্বর উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা তাদের উভয়কে বোঝানোর চেস্টা করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের সহায়তায় মোছাঃ ফারহানা ও সোহেল রানা সব বিবাদ ভুলে সুখে-শান্তিতে সংসার করতে সম্মত হয়। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে মোছাঃ ফারহানা খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার ও শিশু সন্তান সিনথিয়া বিনতে সিমি ফিরে পেল পিতৃস্নেহ।