আবারও অস্থির পেঁয়াজ এবং আলুর বাজার। দেশের বাজারে পেঁয়াজ, আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ সরকার। প্রথম অবস্থায় কিছুটা দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখন আবার অস্থির বাজার। একদিনের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে সাউথ জাতের পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা এবং ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৩ টাকা বেড়ে ৮৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ভারতীয় আলুর দামও। কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা দরে। দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
হিলি স্থলবন্দরে আলু কিনতে আসা পাইকার মোখলেছুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহের থেকে আলুর দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে হিলি স্থলবন্দরে। যার ফলে বেশি আলু কিনতে ভয় লাগছে। কারণ প্রতিদিন আলুর দাম উঠানামা করছে। ফলে আলু কম করে কিনলাম।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, দেশের বাজারে আলু এবং পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে আলু এবং পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে ভারতের অভ্যান্তরে দাম বৃদ্ধির কারণে কিছুটা দাম বৃদ্ধি হয়েছে। বর্তমানে ৮০০ ডলারে পেঁয়াজ এবং ১০০ থেকে ১৫০ ডলারে আলু আমদানি করা হচ্ছে হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে। এলসি করার সময় যদি ডলারের মূল্য কমানো হয় তাহলে দাম অনেকটাই কমে যাবে।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, গতকাল শনিবার ভারতীয় ২৫ ট্রাকে ৭২৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এবং ভারতীয় ৪৩ ট্রাকে ১ হাজার ৪৫ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।