বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, একজন বরেণ্য শিল্পী হিসেবে রফিকুন নবীর দক্ষতা অসাধারণ। তাঁর প্রতিটি শিল্পকর্মে গভীর জীবনবোধ পরিলক্ষিত হয়। তিনি সকল চিত্রকর্মকে তারুণ্যের দিপ্তীতে উজ্জ্বল করে তুলেছেন।
স্পিকার বলেন, রফিকুন নবীর আঁকা শিল্পকর্ম বহু অমূল্য মুহূর্তের স্বাক্ষর বহন করে। তিনি আজ রাজধানীস্থ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে দেশবরেণ্য শিল্পী ও ইমিরেটাস অধ্যাপক রফিকুন নবীর ৮০তম জন্মজয়ন্তী কমিটির উদ্যোগে শিল্পীর আঁকা শিল্পকর্ম নিয়ে রেট্রসপেকটিভ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এমপি’র সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো: কামরুজ্জামান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং গ্যালারি চিত্রক এর নির্বাহী পরিচালক মো: মনিরুজ্জামান শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। অধ্যাপক রফিকুন নবীকে নিয়ে বিশেষ আলোচনা করেন চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক নিসার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বক্তব্য প্রদান করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু মনে করতেন শিল্পকর্মে মেহনতি মানুষের কথা থাকতে হবে। সাধারণ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোন মহৎ কর্ম হতে পারে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জানতেন সাংস্কৃতিক মুক্তির মাধ্যমেই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব। তিনি বলেন, শিল্পীরা তাদের সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে নিরব বিপ্লব ঘটাতে পারেন। এদেশের শিল্পীরা সকল আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি বলেন, রফিকুন নবীর রেট্রসপেকটিভ প্রদর্শনী নতুন প্রজন্মকে এদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রাম সম্বন্ধে নতুন অনেক তথ্য জানার সুযোগ করে দেবে। আগামী প্রজন্মের জন্য শান্তিপূর্ণ পৃথিবী সৃষ্টির লক্ষ্যে শিল্পীরা নিবেদিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এসময় তিনি রফিকুন নবীর আঁকা শিল্পকর্ম নিয়ে রেট্রসপেকটিভ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন এবং প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
এ অনুষ্ঠানে স্বনামধন্য আলোচকবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীগণ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।