ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বিরাট কোহলির ব্যাটিং দেখেই বলা হচ্ছিল, এই ছেলেটাই হতে যাচ্ছেন পরের শচীন টেন্ডুলকার। এই শচীনের পাশে দাঁড়িয়েই ২০১১ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তরুণ কোহলি। পেয়েছেন ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের স্বাদ। বেলায় বেলায় অনেক দিন পার হয়েছে। কোহলি নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন অন্য এক উচ্চতায়। আর নিজের ৩৫তম জন্মদিনে তো নিজেকে ক্রিকেট ইতিহাসেরই অংশ করে ফেলেছেন বিরাট কোহলি।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮ সেঞ্চুরির মালিক হয়েছিলেন কোহলি। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮৮ রান কোহলির অপেক্ষার প্রহর বাড়িয়েছে কেবল। কিন্তু সেই অপেক্ষা হয়ত ভাল কিছুই জন্যই। নয়ত নিজের জন্মদিনে ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক হতে পারা, এমন কৃতিত্বটাই বা কম কী?
রোববার (৫ নভেম্বর) কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের ৪৯তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন কোহলি। এই ইনিংস তাকে নিয়ে গিয়েছে শচীন টেন্ডুলকারের পাশে। সবমিলিয়ে এটি তার ৭৯তম সেঞ্চুরি।
অসাধারণ সব ক্রিকেটীয় সাজানো তার ইনিংস ও একের পর এক রেকর্ড কোহলিকে অনেকেই তুলনায় নিয়ে যান শচীনের সঙ্গে। যদিও কোহলি সে তুলনা মানতে নারাজ। তার মতে— শচীনকে দেখে তিনি ক্রিকেট শিখেছেন। ৩৫ বছর বয়সে ওয়ানডে ফরম্যাটে শচীন করেছিলেন ১৬ হাজার ৩৬১ রান। কোহলির ব্যাটে এসেছে ১৩ হাজার ৫২৫ রান।
তবে মনে রাখতে হবে যে, শচীন ততদিনে ৪০৭টি ওয়ানডে ইনিংস খেলে ফেলেছিলেন। সেখানে কোহলি খেলেছেন ২৭৬টি। তাই শচীনের থেকে রান কম হলেও গড় অনেকটাই বেশি। ৩৫-এর শচীনের গড় ছিল ৪৪.৩৩। সেখানে কোহলির ৫৮.০৪। অর্থাৎ শচীনের সমান ম্যাচ খেললে তাকে ছাপিয়ে যেতে পারতেন কোহলি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে শুরু থেকেই সাবধানী ইনিংস খেলেছেন কোহলি। আগের দুইবার নিজেকে শেষ সময়ে ধরে রাখতে পারেননি কোহলি। এবার আর সেই ভুল করলেন না। অনেকটা সময় নিয়ে নিজেকে সামাল দিয়েছেন কোহলি। সেঞ্চুরিও এসেছে অনেকটা সময় পর। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে খেলেছেন ১১৯ বল।