বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি পাল্টাপাল্টি শোডাউন এবং মিছিল করছে। এর বাইরেও কোথাও কোথাও আপত্তিকর ঘটনা ঘটছে। তবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোববার (৫ নভেম্বর) অবরোধের সকালে রাজধানীতে কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আওয়ামী লীগ এই অবরোধে নৈরাজ্য ঠেকাতে রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে। সকাল ৯টার পর একে একে নেতারা আসতে শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় জড়ো হয়ে কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন তারা।
এসময় নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপি নাশকতার নামে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে চায়। তারা দেশকে একটি অস্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে যেতে চায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় তাদের এই সহিংসতার বিরুদ্ধে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি, সতর্ক পাহারায় আছি।
আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ আলাদাভাবে অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে, সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের সমর্থনে রাজধানীর পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনগুলো।
রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার ছাত্রদল সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান আসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার নেতৃত্বে দয়াগঞ্জে একটি মিছিল বের হয়। এসময় তারা কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক খন্দকার রাজ্জাকুর রহমান রাজ, জবি ছাত্রদলের সহসভাপতি আজিমুল হাসান চৌধুরী, জুলকার নাইন, শামিম হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুসাব্বির মিল্লাত পাটোয়ারী প্রমুখ।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এবং মির্জা ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে রোববার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তাদের শরিকরাও এই অবরোধ পালন করবে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও আলাদা করে এই ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহের শেষ তিন দিন (৩১ অক্টোবর-২ নভেম্বর) টানা অবরোধ পালন করে বিএনপি-জামায়াত। তার আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে বিএনপি ও এর শরিকরা।