জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে জাতীয় চার নেতার কবরে ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা এ শ্রদ্ধা জানান।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এবং পরে দলের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের সভপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মো. ফারুক খান, শাহজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমদ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।
এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি দেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মূলহোতা। ভাড়া করা লোক দিয়ে আবারও সহিংসতার জন্য বিএনপি অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে।
বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে, ‘কিন্তু’ কোনো সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে। এই চার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় এই দিনটি।