স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপু উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের গ্রামে হামলাকোলা নূরে মাদিনা কওমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম(২৪) এর বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার ১২/১৩ বছরের আবাসিক ৪ ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে রবিবার সকাল ১০টার দিকে এলাকাবাসি ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম কৌশলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এ মাদ্রাসার প্রধান হুজুর হাফেজ আবু ওবায়েদের শ্যালোক ও খুকনি আটারদাগ এলাকার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে নির্যাতিত এক ছাত্রর ভাই জহুরুল ইসলাম জানান, তাদের বাড়ি হামলাকোলা হলেও তারা সপরিবারে পাবনার জালালপুর নতুনপাড়া এলাকায় তার বাবার পেশাগত কারণে বসবাস করে। আর ছোট ভাই এ মাদ্রাসায় আবাসিক থেকে হেফজ শাখার ছাত্র। গত ৪/৫ দিন আগে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক তার পরিবারকে ছোট ভাইয়ের অসুস্থতার খবর দেয়। এরপর সে তার ছোট ভাইয়ের কাছে অসুস্থতার কারণ জানার পর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহীন হাজীর কাছে এ বিষয়ে বিচার দাবী করে। তিনি বিচার দিতে কালক্ষেপন করতে থাকেন। এরমধ্যে আরও ৩ ছাত্র ওই শিক্ষাকের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে কয়েকজন ছাত্র এলাকাবাসি ও তাদের অভিভাবককে জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসি ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এদিন সকালে মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে।
ওই শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের শিকার ১৩ বছরের এক ছাত্র জানায়, ওই হুজুর আমাকে ডেকে মোবাইলে অনেক খারাপ খারাপ ভিডিও দেখিয়ে আমার গোপনাঙ্গ হাতিয়েছে। এছাড়া আমাকে নানা কু-প্রস্তাব দিয়েছে। এতে আমি রাজি না হলে আমাকে নানা ভাবে ভয় দেখিয়েছে। এরপর ওই হুজুর আমাকে একা ডাকলে আমি আর তার কাছে যাই না।
এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হাসান মাহমুদ ঘটনা স্বীকার করে জানান, এলাকাবাসির দাবীর প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহীন হাজী উপযুক্ত বিচার দিবেন বলে ৩ দিনের সময় চেয়ে নিলে গ্রামবাসি তা মেনে নিয়ে যে যার কাজে চলে যায়।
এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার প্রধান হুজুর হাফেজ আবু ওবায়েদ বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহীন হাজী বলেন, আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও গ্রামবাসি বসে এ বিষয়ে কি করা যায় তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার বলেন, এ বিষয়ে এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। আবার কেউ বিষয়টি আমাকে জানায়নি। তারপরেও এ বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।