সজীব আকবর, ঢাকা অফিস:
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকারবিরোধী বিএনপির শক্তির মহড়া শেষ পর্যন্ত সহিংসতায় রূপ নিল। বহুদিন পর মানুষ আবার দেখল প্রাণঘাতী সহিংসতা। গতকাল শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে রাজধানীর কাকরাইল, বিজয়নগর, নয়াপল্টনসহ আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদেরও। দুপুর থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টার পরও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগ চলতে থাকে। প্রধান সড়ক থেকে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে অলিগলিতে।
সংঘর্ষ ও হামলায় পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। অন্য একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও পুলিশ তা স্বীকার করেনি। নিহত ওই ব্যক্তি বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের একটি ওয়ার্ড শাখার নেতা বলে দাবি করেছে দলটি। এ ছাড়া সংঘর্ষে সাংবাদিক, পুলিশ, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ দুই শতাধিক আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপি কর্মীরা কাকরাইল ও শান্তিনগর পুলিশ বক্সে, আইডিবি ভবন ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আগুন দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বাস-মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্সসহ যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, ৫০টির মতো যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া হামলা করেছে প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেজ কমপ্লেক্স ও অডিট ভবনে। অসংখ্য ভবনের দরজা-জানালার গ্লাস ভাঙচুর করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক হাজার সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। বিএনপি নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে বিপুল পরিমাণ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কাঁদানে গ্যাস থেকে বাঁচতে সড়কে কাঠ, ব্যানার, কাগজসহ হাতের কাছে যা পেয়েছে তা দিয়েই সড়কে আগুন জ্বালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ২১ প্লাটুন সদস্য, দেড় হাজারের বেশি র্যাব সদস্য, দুই হাজারের বেশি আনসার সদস্য ও দাঙ্গা পুলিশের কয়েক হাজার সদস্য। বিএনপি নেতাকর্মীসহ সন্দেহভাজন ৭০০-৮০০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার ও আটক করা হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে এই সহিংসতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর ১টার দিকে কাকরাইল মসজিদের পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল যাচ্ছিল বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সমাবেশস্থলে। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা অবস্থান করছিলেন কাকরাইল মোড়ে। একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা থামানোর চেষ্টা চালান। পরে আওয়ামী লীগ কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। কিন্তু বিএনপি কর্মীরা বেপরোয়া আচরণ শুরু করলে পুলিশ সদস্যরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে গেলে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে সংঘর্ষ আরও ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা কাকরাইল মোড়ে দুপুর সোয়া ১টার দিকে একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দেয়। পরে আইডিবি ভবনে ঢুকে ৩টি গাড়িতে আগুন দেয়। হামলা চালায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে। ভাঙচুর করা হয় নামফলক এবং দরজা-জানালার কাচ। এরপর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে পল্টন মোড় পর্যন্ত। একপর্যায়ে পল্টন মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে ধাওয়া দিতে থাকে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। দুপুর ২টার পর থেকে প্রতিটি রাস্তা, অলিগলিতে শুধু আগুন জ্বলতে দেখা যায়। বিএনপি কর্মীরা বিভিন্ন দিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা করার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল মেরে সরিয়ে দেয়। ফুটপাতের টাইলস, রাস্তার আইল্যান্ডের ইট খুলে পুলিশের ওপর নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের গেটে ও ভেতরে রাখা পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রাফি আল ফারুক বলেন, হাসপাতালের ফটকে ও হাসপাতাল চত্বরে রাখা পাঁচটি মোটরসাইকেল, একটি বাইসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্সসহ দুটি মাইক্রোবাসে আগুন দেওয়া হয়। তবে গতকাল রাতে ডিএমপি কমিশনার জানান, ২৬টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শান্তিনগরে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। হামলা করা হয়েছে ট্রাফিক দক্ষিণের কার্যালয়ে।
কাকরাইল থেকে বিএনপি অফিসের সামনে পর্যন্ত চারটি পুলিশ বক্স ও সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলসহ ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেগুনবাগিচায় ১২-তলা ভবনের সামনে একটি ট্রাকসহ তিনটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
দুপুর আড়াইটার দিকে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ কাকরাইল মোড়ে সাংবাদিকদের বলেন, কাকরাইলে আইডিবি ভবনে আগুন দিয়েছে ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর করেছে বিএনপি কর্মীরা।
পুলিশের কনস্টেবল নিহত :
ফকিরাপুল কালভার্ট রোডে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় নিহত হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। তার নাম আমিরুল ইসলাম ওরফে পারভেজ। তিনি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার চরকাটরী গ্রামের সেন্দার আলীর ছেলে। আমিনুল ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটে (সিটিটিসি) কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।
ওই পুলিশ সদস্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা রায়হান নামের এক যুবক জানান, বিকেলে ফকিরাপুল মোড়ে পুলিশের ওপর যখন হামলা হয় তখন ওই পুলিশ সদস্যসহ ৪ পুলিশ একটি ভবনে ঢুকে পড়েন। ভয়ে তাদের সঙ্গে তিনিও ভবনটিতে ঢোকেন। সেখান থেকে হঠাৎ ওই পুলিশ সদস্য বাইরে বেরিয়ে যান। তখনই তার ওপর হামলা চালায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে তার মাথায় আঘাতে লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তা পড়ে যান তিনি।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, মৃত অবস্থাতেই ওই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আনা হয়েছিল। তার মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে।
আহত অন্য পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এএসআই সামাদ, নায়েক আব্দুর রাজ্জাক, কনস্টেবল আসাদুজ্জামান, কাইয়ুম ও আলীর অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
কুপিয়ে মারা হয়েছে পুলিশকে :
নয়াপল্টন, কাকরাইল ও নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটের দিকে তিনি হাসপাতালে যান। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, ঢিল ছুড়ে রাস্তায় ফেলার পর এক ছাত্রদল নেতা পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলামকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। মন্ত্রী বলেন, এই দৃশ্য আমাদের সবার হৃদয়ে দাগ কেটেছে। আসলে বিএনপির একটি ঘোষণা ছিল তারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে, ২০১৪ সালে যেমনটি করেছিল। তবে আমাদের পুলিশ সদস্যরা চরম ধৈর্যসহকারে তা মোকাবিলা করেছে।
বিএনপি কর্মীর মৃত্যুর দাবি :
নয়াপল্টনে সংঘর্ষের সময় আরেক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার নাম শামীম মোল্লা। বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন এ তথ্য জানিয়েছেন।
শামীম মুগদা থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের ১ নম্বর ইউনিটের সভাপতি ছিলেন বলে বিএনপি দাবি করেছে। দলটির দাবি, পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার পর তাকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান। তার পরিবারের সদস্যরা সেখানে আছেন। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্ত করে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
তবে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে বিএনপির কোনো কর্মীর লাশ থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শান্ত।
৩০ সাংবাদিকসহ আহত দুই শতাধিক :
ঢাকার কাকরাইল, নাইটিঙ্গেল মোড় ও নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ২২ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯ পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া পথচারী, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মী মিলে আরও শতাধিক ব্যক্তি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। নবাব আলী (৬০) নামে এক জামায়াতকর্মীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনা হয়।
আহতদের মধ্যে অন্তত ৩০ সাংবাদিক রয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন কালবেলার রাফসান জানি, দেশ রূপান্তরের আরিফুর রহমান রাব্বী, প্রতিদিনের বাংলাদেশের এস এম আরিফুল আমিন, আমান নবী ও মাসুদুর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান, নিউ এজের আহমেদ ফয়েজ, বাংলা ট্রিবিউনের সালমান তারেক শাকিল, সাজ্জাদ হোসেন ও জোবায়ের আহমেদ, , আবু সালেহ মুসা, রবিউল ইসলাম রুবেল এবং তৌহিদুল ইসলাম তারেক, ভোরের কাগজের মো. মাসুদ পারভেজ আনিস ও নুরুজ্জামান শাহাদাৎ, ঢাকা টাইমসের সালেকিন তারিন, ব্রেকিং নিউজের কাজী ইহসান বিন দিদার, দৈনিক ইনকিলাবের এফ এ মাসুম, দৈনিক ইত্তেফাকের তানভীর আহাম্মেদ, একুশে টিভির তৌহিদুর রহমান, আরিফুর রহমান, ইত্তেফাকের শেখ নাছের, ফ্রিল্যান্সার মারুফ, কালের কণ্ঠের শেখ হাসান ও লুৎফর রহমান।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।
এক ঘণ্টায় তিন বাসে আগুন :
গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে কাকরাইল, মালিবাগ ও কমলাপুরে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি, তিনটি বাস ও পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভারে বলাকা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। একই সময় কমলাপুরে বিআরটিসির একটি বাসেও আগুন দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে কাকরাইল মোড়ে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, কীভাবে আগুন লেগেছে, সেই তথ্য পাওয়া যায়নি।
চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে র্যাব : রাজধানীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলাকারীদের শনাক্ত করতে কাজ করছে র্যাব। সন্ধ্যায় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, র্যাবের গোয়েন্দারা গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি বিশ্লেষণ-পূর্বক জড়িত দুষ্কৃতকারী ও সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
আটক/ গ্রেফতার ৭০০-৮০০ :
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর পুলিশ আশপাশের অলিগলিতে অবস্থান নেয়। বিকেলেই জলকামান, এপিসি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য সম্মিলিতভাবে অ্যাকশনে যায়। টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, ফাঁকা গুলি আর লাঠিপেটা করে রাজপথ দখলে নেয় পুলিশ। সন্ধ্যার পর অলিগলিতে অভিযানে নামে। অভিযানে শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। পথচারীদের মধ্য থেকেও অনেককে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করা হয়। কারও কারও মোবাইল ফোন তল্লাশি করে আটক করতে দেখা গেছে পুলিশকে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমপির উপকমিশনার আবু ইউসুফ বলেন, পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সর্বত্রই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।