আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন ২০২৩ সম্পন্ন হয়েছে। উৎসব মুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে শনিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বণিক সমিতির কার্যালয়ে বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভোট গননা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিরাজুল ইসলাম বিজয়ীদের ফলাফল ঘোষণা করেন। আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আরেফিন মিয়া মিলন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। নির্বাচনকে ঘিরে দিনব্যাপী উৎসব ছিল সারা শহরে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করায় বণিক সমিতির সকল সদস্যসহ স্হানীয় সুধীজন নির্বাচন কমিশনারদের সাধুবাদ জানিয়েছেন।
জানা যায়, আরেফিন মিয়া মিলন (ছাতা প্রতিকে) ৪৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । সভাপতি পদে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হাজী মকবুল হোসেন (দোয়াত কলম প্রতিকে) পেয়েছেন ৪০৪ ভোট, সভাপতি পদে আরেক প্রতিদ্বন্দ্বি সাইফুল ইসলাম লিটন (চাকা প্রতিকে) পেয়েছেন ৯১ ভোট।
সহসভাপতি পদে (দেয়াল ঘড়ি প্রতিকে) ৫৮২ ভোট পেয়ে হাফিজুর রহমান ও (চশমা প্রতিকে) ৫৫২ ভোট পেয়ে হাজী রফিকুল আলম সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
(বাই সাইকেল প্রতিকে) সর্বোচ্চ ৫২২ ভোট পেয়ে খন্দকার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কামাল হোসেন আনারস (প্রতিকে) পেয়েছেন ৪৪৭ ভোট।
(বাঘ প্রতিকে) সর্বোচ্চ ৪৭৮ ভোট পেয়ে শরিফুল ইসলাম ও (গোলাপ ফুল) প্রতিকে ৪৫৬ ভোট পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন।
(চেয়ার প্রতিকে) সর্বোচ্চ ৫২৫ ভোট পেয়ে আমিরুল ইসলাম লিটন সাংগঠণিক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল লতিফ মই প্রতিকে পেয়েছেন ৪২৪ ভোট।
কোষাধ্যক্ষ পদে আলা উদ্দীন (মোরগ) প্রতিকে সর্বোচ্চ ৪৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিযোগী সোহানুর রহমান বাবুল (হাতি প্রতিকে) পেয়েছেন ৪৪৬ ভোট।
ক্রীড়া সম্পাদক পদে হাবিবুর রহমান (আম প্রতিকে) সর্বোচ্চ ৫৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মাসুদ রানা (ফুটবল প্রতিকে) ৩৮৪ ভোট পেয়েছেন।
ধর্ম সম্পাদক পদে রেজাউল করিম কাবিল (মিনার প্রতিকে) সর্বোচ্চ ৫৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আসাদুল হক (তারা প্রতিকে) ৩৪৫ ভোট পেয়েছেন।
দপ্তর সম্পাদক পদে অ্যাড. শফিউল হাসান মিলন (কলম প্রতিকে) ৫০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইফতেকার আহমেদ (টিয়া প্রতিকে) ৩৯৬ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল ওহাব কাবলু, জসিম উদ্দীন, জয়নাল আবেদীন ক্যাপ, ফারুখ হোসেন, রেজাউল হক তোতা, রতন আলী, সাইদুল ইসলাম, খোন্দকার সজীব, সিরাজুল ইসলাম, খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম।
সুন্দর পরিবেশেও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ও সহকারি নির্বাচন কমিশনার সাবেক ব্যাংকার শহিদুল ইসলাম
দায়িত্ব পালনকারী নির্বাচন কমিশনার সিরাজুল ইসলাম সকল প্রার্থী, ভোটার ও সকল সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ জাতীয় আরো খবর ....