নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপির মিছিলে পুলিশের বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের গুলি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ঘটনাস্থল।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় হরতালের সমর্থনে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের তিনটি স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। এর মধ্যে উপজেলার পাঁচরুখীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশের গুলিতে অর্ধ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির সহ আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মুছা, জেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলম, বিশনন্দী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মুজিবর, খাজা মাঈনুদ্দিন প্রমুখ।
বিএনপি নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে, সকালে পাঁচরুখীতে বিএনপির হরতালের সমর্থনে মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। তখন বিএনপি নেতাকর্মীরা বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে বান্টি ও পুরিন্দা এলাকায় গিয়ে মিছিল করে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এদিকে নেতাকর্মীরা চলে গেলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব পাঁচরুখীতে বিএনপি নেতা আজাদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার বাড়িঘরে ভাংচুর ও মহিলাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন আজাদ।
বিএনপির সহ আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ জানান, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে বিনা উস্কানিতে পুলিশ আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। আমাদের জেলা বিএনপি নেতা ও উপজেলা বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এরপর আমরা সেখান থেকে চলে গেলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব আমার বাড়ি ঘিরে অভিযান চালায়। পুলিশ ও র্যাবের পাহাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় বাড়িতে অবস্থান করা নারী শিশুদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে তারা।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, বিএনপি নেতারা সড়ক অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা শুরু করলে আমরা বাধা দিই। পরে তারা আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।