নিজ নিজ দেশকে বদলে দেয়া নারী নেত্রীদের তালিকায় ওঠে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লন্ডনের সংবাদমাধ্যম গ্লোব ইকো নারী নেত্রীদের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলাদেশকে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেবা দেয়া শেখ হাসিনা শীর্ষে রয়েছেন।
গ্লোব ইকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন সংকটের মধ্যে দেশে তিনি একটি শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাঙালি জাতির প্রতি তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান হলো, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দেশের জনগণকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া। গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য পৃথিবীর অন্যতম অনুপ্রেরণাদায়ক নারী নেত্রী হিসেবে বিবেচিত হন তিনি। তিনি ২০১৭ সালের ফোর্বস ম্যাগাজিনে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী নারীদের তালিকায় ৩০তম স্থানে রয়েছেন। বাংলাদেশের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে তাঁর নিরঙ্কুশ বিজয় তাঁকে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন প্রধানমন্ত্রী করে তুলেছে।
সিঙ্গাপুরের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট মালয়েশিয়ান বংশোদ্ভূত হালিমা ইয়াকবকে গ্লোব ইকোর প্রতিবেদনে দ্বিতীয় স্থানে রাখা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি তাঁকে সদালাপী উল্লেখ করে বলেছে, তিনি বয়স্কদের মানবাধিকারের জন্য কাজ করা একজন অ্যাকটিভিস্ট। সবসময় দেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি অনেক বেশি মনোযোগ দেন তিনি।
তানজানিয়ার প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি সামিয়া হাসানকে রাখা হয়েছে তালিকার তৃতীয় নম্বরে। তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়া আফ্রিকান বংশোদ্ভূত পঞ্চম নারী। ৬১ বছর বয়সী এই নারী নেত্রী তানজানিয়ায় ‘মামা সামিয়া’ নামে পরিচিত, জানিয়েছে গ্লোব ইকো। সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, কোভিড-১৯ সংকট মোকাবেলায় তার কঠোর পন্থা পৃথিবীজুড়ে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে বিশেষত এশিয়া-আফ্রিকার রাজনীতিতে পুরুষদের আধিপত্য বেশি চোখে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে সমাজে বিদ্যমান পশ্চাৎপদতা আর কুসংস্কারকে মোকাবেলা করে নারীরা যখন একটি দেশের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হন, তখন হয়ে ওঠে আসল চ্যালেঞ্জ জয়ের গল্প। পৃথিবীর সামনে এমন অল্প কয়েকজন প্রেরণাদায়ী নারী নেত্রী আছেন যাদের প্রজ্ঞাময় নেতৃত্ব পৃথিবীর উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।