আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্তত ৩৫টি রাজনৈতিক দলের মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে রাজধানীর সঙ্গে সারাদেশের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) মহাসড়কগুলোতে দূরপাল্লার কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।
সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জানান, বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে নাশকতার শঙ্কায় মালিক শ্রমিকরা বাস বন্ধ রেখেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাস চলাচল শুরু হবে। তবে বাস বন্ধে সমিতি থেকে কোনো নির্দেশনা নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই মহাসড়কগুলো ফাঁকা দেখা গেছে। রাজধানীর প্রবেশপথে সকালের দিকে কিছু গাড়ি দেখা গেলেও দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছিল না। তবে, নগরীতে সিএনজি, অটোরিকশা ও প্রাইভেটকার চললেও পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়তে হয়েছে। এ সময় যাত্রীদের ব্যক্তিগত মোবাইল, ব্যাগ চেক করার পাশাপাশি কারও কারও শরীর তল্লাশি করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কাউকে কাউকে হেফাজতে নিচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, রাজধানীতে যাতে কোনো নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা না হয় এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তল্লাশি কার্যক্রম চলছে। যাকেই সন্দেহ হচ্ছে তাকেই তল্লাশি করে আটক করা হচ্ছে। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর নয়াপল্টনে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর একই দিন বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ এবং শাপলা চত্বরে সমাবেশের ডাক দেয় জামায়াতে ইসলামী। একই দিনে তিন দলের সমাবেশ ঘিরে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ বলছে, সংবিধানে যেকোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে। কিন্তু কর্মসূচির আড়ালে কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।