বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর তেমন প্রভাব পড়েনি নোয়াখালী জেলার উপকূলীয় এলাকা হাতিয়ায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে একদিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সাথে সারাদেশের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে উপকূলবাসীর মধ্যে যে আতঙ্ক ছিল তা বর্তমানে কেটে গেছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৭টায় হাতিয়ার চতলার ঘাট থেকে নলচিরা ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বারোআউলিয়া নামের একটি যাত্রীবাহী ট্রলার। এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে বেশ কয়েকটি ট্রলার ও স্পীডবোট ছেড়ে গেছে বিভিন্ন গন্তব্যে। এতে অপেক্ষার সময় কাটলো নৌ-যাত্রীদের।
সকালে হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে দেখা যায় যাত্রীদের ভিড়। এদের মধ্যে চট্রগ্রাম থেকে নিঝুমদ্বীপ ভেড়াতে আসা ৫ পর্যটককে নদী পার হতে দেখা যায়। তারা জানান, গতকাল দুপুরে ঘাট থেকে ফিরে গেছেন। সকালে নৌ-চলাচল স্বাবাভিক হওয়ায় এখন নদী পার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঘুর্ণিঝড় হামুন হাতিয়া উপকূলে আঘাত হানবে আবহাওয়া অফিসের এমন তথ্যে হাতিয়ার বাসিন্দাদের মধ্যে মঙ্গলবার দিনব্যাপী আতংক কাজ করছিলো। নদীর তীরের দোকান-পাট থেকে বিকেলের মধ্যে সকল মালামাল নিরাপদে সরিয়ে নেন ব্যবসায়ীরা। মেঘনার পাশে বসতি থাকা অনেকেই সরে যান নিরাপদ আশ্রয়ে। তবে বুধবার সূর্য উঠার সাথে সাথে রৌদ্রজ¦ল পরিবেশে স্বস্তি ফিরে দ্বীপবাসীর মধ্যে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, হামুনের তেমন প্রভাব পড়েনি হাতিয়ায়। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাবাভিক হওয়ায় নৌ-চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে যাত্রীরা বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে।