রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মুক্তারপুর, ইউসুফপুর, টাংগন, সাহাপুর এলাকায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে পদ্মা নদীর তর তাঁজা মা’ ইলিশ, বড় বড় পাঙাস, আইড়, বাঘার মাছ। অথচ সরকার আগামী ২রা নভেম্বর পর্যন্ত। ফাঁস জাল দিয়ে মাছ ধরা নিশিদ্ধ ঘোষনা করেছেন। যাতে ইলিশ মাছের বংশ বিস্তার ঘটে। এ জন্য সরকারের তরফ থেকে জেলেদের ২৫ কেজি করে চাউলও দিয়েছেন। তারপরও রাত দিন সমনে প্রশাসনকে বৃদ্ধাংগুল দেখিয়ে মাছ ধরছেন জেলেরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধায় মাছ কিনতে দেখা যায় ঝটু পাইকড় কে তিনি ৫ কেজি থেকে শুরু করে ২২ কেজি ওজনের ৭টি পাঙাশ, আইড় ও বাঘাইড় মাছ ক্রয় করেন। যার দাম ছিল ৬০০ টাকা কেজি থেকে ১০০০ টাকা কেজি পযন্ত। ইলিশ মাছের দাম হাকা হয় ১০০০ টাকা কেজি। যার ওজন ছিল ৮০০ গ্রাম, প্রতিটি মাছের পেটে ছিল প্রচুর পরিমানে ডিম।
গত ১২ অক্টোবর থেকে ২রা নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ
মর্মে, স্থানীয় জেলেদের নিয়ে জনসচেতনতামূলক সভা করেন, বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা, আব্দুল ওয়াহেদ মন্ডল, উক্ত সভায় উপিস্থত ছিলেন, রাজশাহী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম,
পবা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান। আরও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার হাফিজুর রহমান। কাটাখালী পৌরসভা জেলে নেতা, মো: চাহার উদ্দীন।
সভায় জেলেদের নিষিদ্ধ সময় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলেন। অন্যথায় মাছ ধরতে গিয়ে আটক হলে ১ থেকে ২ বছর জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা জেল ও জরিমানা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন মর্মে জানিয়ে দেন।
গত ২২ সেপ্টম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ২২ দিন দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীতে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় নির্ধারণ ও ‘মা ইলিশ’ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়নে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন-সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এ সময় বলেন, ইলিশ শুধু আমাদের জাতীয় সম্পদই নয়, এটি জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্যও। অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করে দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে ইলিশ উৎপাদনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট সবার অবদান রয়েছে।
শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে মৎস্যজীবীরাই সেসব ইলিশ আহরণ করবেন। এর সুফলও তাঁরাই পাবেন। সরকার শুধু ইলিশ উৎপাদনের পরিসর বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। জাতীয় সম্পদ ইলিশ যাতে কখনো বিপন্ন না হয়, সে জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।