দেশসেরা এক মহা প্রতারক মো: মোবারক হোসেনন । সে সাধারণ মানুষকে কে লোন দেওয়ার কথা বলে কথিত মাল্টিপারপাসের সদস্য করে লুটে নিয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। চড়েন দামি প্রাডো গাড়িতে। পাবলিকের আইওয়াশ করাতে মিটিং করেন হোটেল ইন্টার কন্টিনেল্টাল সহ দামি দামি হোটেলে। রাজধানীর বনানী ও পল্টনে রয়েছে তার দুটি কথিত অফিস। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ উকিলপাড়া ও সুনামগঞ্জে তার এসব প্রতারণামূলক অফিস চালু থাকলেও খুব ধুরন্ধর এই মোবারক সবসময় বসে দালাল পরিবেষ্টিত হয়ে সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে। ফলে পুলিশকে অফিসের আশেপাশে দেখলেই সে পিছনের দরজা দিয়ে কৌশলে পালিয়ে গ্রেফতার এড়িয়ে চলে। তার নামে দুদকে ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা চলমান। এছাড়াও বর্তমানে তার নামে অসংখ্য মামলা ও জিডি থাকলেও সে বরাবরই রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। জনশ্রুতি আছে লোন দেওয়ার কথা বলে সে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা লুটপাট করে সেই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দুবাইতে পাচার করে সেখানে সে ব্যবসা শুরু করেছে।
তার বনশ্রীর বাসাতে তাকে কদাচিৎ দেখা যায়। গিরগিটির মতো রং পরিবর্তন করে সে চলাফেরা করে। তার প্রাডো গাড়িতে থাকে বাহারি সব স্টিকার। কখনো নবজীবন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক, কখনো আইজীবী, কখনো পুলিশ, কখনো বা আবার ও মন্ত্রনালয়ের স্টিকার লাগিয়ে সে বীরদর্পে সারাদেশ ঘুরে বেড়ায়।
আবার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে এই প্রতারক মোবারক ও তার লোকজন ২ শতাধিক ভূমিহীনদের কাছ থেকেও লুটে নিয়েছে দেড় লাখ টাকা করে। এছাড়া সরকারি চাকরী পাইয়ে দেওয়া, স্কুল মাদ্রাসার অনুদান পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেও সে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গাঢাকা দিয়েছে। অসংখ্য ভুক্তভোগী তাকে খুঁজে বেড়ালেও তার দালাল ও সাঙ্গপাঙ্গদের কারণে কেউ তার ধারেকাছে যেতে পারেনা।
তার যাবতীয় মামলা মোকদ্দমা ও পাপ কাজ হালাল করাতে সে তার ব্যক্তিগত লিগ্যাল এডভাইজার নিয়োগ দিয়েছে এড: রফিকুল ইসলামকে। এই এডভোকেটের সাথে তার নিয়মিত মোবাইলে এবং স্বশরীরে যোগাযোগ আছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
এছাড়া এই প্রতারক প্রধানমন্ত্রীর ছবির সাথে তার ছবি এডিট করে প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে সে তার প্রতারণার ফাঁদ বিস্তার করে থাকে।
এ জাতীয় আরো খবর ....