1. admin@crimenews24.net : cn24 :
  2. zpsakib@gmail.com : cnews24 :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সালের সময়ে আওয়ামী লীগ বধ্যভূমি তৈরি করেছিল: টুকু সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং ডিসি কর্তৃক গালাগাল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন নিজের চেহারা একবার আয়না দিয়ে দেখুন: মৌলভীবাজারে জামায়াতের আমীর শ্রীমঙ্গলে শিশু ধর্ষণ মামলায় আটক ২ তানোরে দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রতারণায় প্রথম স্ত্রী নিঃস্ব সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপদের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ রাজশাহীতে হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে আটক- ৮ সাতক্ষীরা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কালো ব্যাজ ধারণ ও প্রতিবাদ সভা মাছের উৎপাদন বৃদ্বিতে সুন্দরবনে প্রকল্প হাতে নিয়েছে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্তে অর্ধকোটি টাকার ভারতীয় পণ্য আটক 

ঢাকা ১৬ আসন আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি, বিএনপি’র নেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা অফিস:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৮৮ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর এলাকায় বাড়ি আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লাহর। স্থানীয়ভাবে ‘মোল্লাহ বাড়ি’ নামে পরিচিত। সকাল নয়টায় বাড়িটির সামনে মানুষের ভিড়। কেউ এসেছেন সন্তানের স্কুলের বেতন মওকুফ করতে, কারও জমিজমা নিয়ে ঝামেলা। বাড়ির ফটক ঠেলে মোল্লাহ্ বাড়ির ভেতরে ঢুকে দেখা যায় মানুষে গমগম করছে। বাড়ির তিনটি কক্ষে ৭০-৮০ জন মানুষ। সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লাহ্ একে একে মানুষের কথা শুনছেন। প্রয়োজনে থানার ওসিকে কিংবা বিরোধকারী ব্যক্তিকে ফোন দিচ্ছেন। কখনো ঠান্ডা গলায়, কখনো কোমল সুরে। সকাল থেকে শুরু হয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিয়াস মোল্লাহ্’র বাড়ির চিত্র এমনই থাকে।

 

স্থানীয়রা জানান, মিরপুরের আধিপত্য আর রাজনীতির মাঠে মানুষটি শুধুই নেতা নন, একজন প্রভাবশালী জননেতা। তাই সালিশ-বিচার, বিরোধ নিষ্পত্তি সব কিছুই তার হাতে। এই এলাকায় যত ঝামেলাই হোক, থানা-পুলিশ-আদালতে যাওয়ার আগে মোল্লাহর কাছে সবাই যান। আর এই রেওয়াজ দীর্ঘদিনের।

তাই ঢাকার উত্তরের সীমান্তবর্তী মিরপুরের পল্লবী ও রূপনগর থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৬ আসনটি প্রভাব-প্রতিপত্তি আর জনপ্রিয়তায় এগিয়ে ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্। রাজনীতির দৃশ্যমান শক্তিশালী প্রতিপক্ষ না থাকায় এই আসনে একচেটিয়া আধিপত্য তার।স্থানীয়রা জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি বা অন্য কোনো দলের স্থানীয় শক্তিশালী প্রার্থী না থাকায় বাইরের কোনো ব্যক্তি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এখানে সুবিধা করতে পারবেন না। গত নির্বাচনেও একই চিত্র দেখা গেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। তিনি ইলিয়াস মোল্লাহ্র কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হন। বিহারিদের নাগরিকত্বের বিষয়ে একটি মামলায় রফিকুল ইসলাম উচ্চ আদালতে তাদের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন। এ ছাড়া ইলিয়াস মোল্লাহ্র ভাই এখলাস মোল্লাহ্ বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু ২০০৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করায় কার্যত আসনটি এক দলের আসনে পরিণত হয়েছে।

ঢাকা-১৬ উত্তর সিটি করপোরেশনের ২, ৩, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এই আসনের ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৬৩ হাজার। এই আসনে ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছয়টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারবার আওয়ামী লীগ, দুবার বিএনপি জিতেছে। এক সময় বৃহত্তর মিরপুরের এই আসনটি ছিল ঢাকা-১১, তা ভেঙে তিনটি আসন করা হয়।সরেজমিন পল্লবী, রুপনগর ও মিরপুর সাড়ে ১১ ঘুরে দেখা গেছে, বিএনপির শক্তিশালী কোনো প্রার্থীর প্রচার নেই নির্বাচন ঘিরে। স্থানীয়ভাবে কোনো নেতার দৃশ্যমান তৎপরতাও চোখে পড়েনি। নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নে, প্রচারে-পোস্টারে শুধু ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্কেই দেখা গেছে। তবু স্থানীয় লোকজনের ধারণা, সুষ্ঠু নির্বাচনে বিএনপি ভোটযুদ্ধে নামলে ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন।

১৯৯১ সালের নির্বাচনে এ আসনে (অবিভক্ত) বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন প্রয়াত হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্। এর পর আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন তারই মেজ ছেলে ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্। দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিকভাবে এই আসনটিতে ‘মোল্লাহ্’ পরিবারের একটা দৃশ্যমান প্রভাব আছে।

গত পাঁচ বছরে এই আসনের ওপর দিয়ে যেমন মেট্রোরেল গড়িয়েছে, তেমনি ফ্লাইওভারে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। কালশী ফ্লাইওভার আসনটির যোগাযোগে বিপ্লব ঘটিয়েছে। এ ছাড়া অধিকাংশ সড়ক প্রশস্ত ও পাকা। তেমন ভাঙা সড়ক নেই বললেই চলে। এক সময়ের ত্রাসের আসন এখন আলো ঝলমল ভবন আর বিপণি সেন্টারে ছেয়ে গেছে। এ ছাড়া রয়েছে ঐতিহ্যবাহী বেনারসি পল্লী।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই আসনটিতে এখনো অন্যতম সমস্যা ‘মাদক’। তৈরি পোশাকের কারখানা ঘিরে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি এখনো আর আগের মত নেই বললেই চলে।

পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই অনেক এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। এর মধ্যে পল্লবীর বি ব্লক, কালশী, বাউনিয়া বাঁধ এলাকা উল্লেখযোগ্য। তবে রূপনগর, ৬ নম্বর, বর্ধিত পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং আবাসিক এলাকা, আলবদী গ্রামে রাস্তাঘাটের যে সমস্যা ছিল তা অনেকটাই কেটেছে।

সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ বলেন, আমার আসনে প্রায় সব সড়কই পাকা হয়েছে, ভাঙা সড়ক কেউ দেখাতে পারবে না। মানুষ এখন মেট্রোরেলে চেপে কয়েক মিনিটে উত্তরা পৌঁছে যাচ্ছে। কিছুদিন পর মতিঝিলেও চলে যাবে। মানুষের সঙ্গেই সারাদিন আমার চলাফেরা। আমি যেমন তাদের হাঁড়ির খবর রাখি, তারাও অন্তর থেকে আমাকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসে। আগামী নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে তিনি মনোনয়ন চাইবেন বলে নিশ্চিত করেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে এই আসনে প্রার্থিতা নিয়ে আওয়ামী লীগে দ্বন্দ্ব ছিল। তা অনেকটাই নিরসন হয়েছে। তবে মোল্লাহ্ পরিবার ও গোষ্ঠীতেও বিভক্তি আছে। ইলিয়াস মোল্লাহ্র বড় ভাই এখলাস উদ্দিন মোল্লাহ্ও মনোনয়ন চাইতে পারেন। দুই বছর আগে ঢাকা-১৪ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তিনি। কিন্তু দলীয় কোনো পদ না থাকায় মনোনয়ন ফরম তুলতে পারেননি তিনি।এই আসনে প্রার্থিতা নিয়ে বিএনপিতে বড় নেতা নেই, বিরোধও নেই। তবে দলীয় ভোট রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আহসান উল্লাহ হাসান নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু বিপুল ভোটে ইলিয়াস মোল্লাহ্র কাছে পরাজিত হন। এবার বিএনপির পক্ষ থেকে শরিক দলের কাউকে এই আসন দেওয়ার গুঞ্জন চলছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2022 crimenews24.net
Design & Developed By : Anamul Rasel