ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের ফলেই ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের সংসদ নেসেটের বামপন্থী জোট হাদাশের সদস্য ওফার ক্যাসিফ।
রোববার (৮ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওফার ক্যাসিফ বলেন, সরকারকে পূর্বেই দেশটির একজন আইনপ্রণেতা সতর্ক করে বলেছিলেন ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড অবৈধভাবে দখলের পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার দখলদারিত্বের নীতিতে পরিবর্তন আনেননি। তাই আজকের এই পরিণতি দেখতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার যদি ফিলিস্তিনিদের প্রতি নীতিতে পরিবর্তন না আনে তাহলে পরিস্থিতির বিস্ফোরণ ঘটবে বলে সতর্ক করেছিলাম। আমরা নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যেকোনো ধরনের হামলার নিন্দা ও বিরোধিতা করি। ইসরায়েলি সরকারের বিপরীতে এর অর্থ হলো আমরা ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যেকোনো হামলারও বিরোধিতা করি। আমাদের অবশ্যই সেই ভয়ানক ঘটনা (আক্রমণ) এবং চলমান দখলদারিত্বের বিষয়গুলো নিয়ে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার। ফিলিস্তিনিদের জাতিগতভাবে নির্মূলকে সমর্থন দিয়ে উৎসাহ এবং নেতৃত্ব দেয়। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চলছে। ফিলিস্তিনিদের রক্তে এটা স্পষ্টভাবে দেয়ালে লেখা আছে। দুর্ভাগ্যবশত এখন ইসরায়েলিদেরও একই দশা হতে চলেছে। নেতানিয়াহু ইসরায়েলি নাগরিকদেরই মঙ্গল চান না, অধিকৃত অঞ্চলের ফিলিস্তিনিরা তো দূরের কথা। তিনি শুধু ক্ষমতায় থাকতে আগ্রহী। মামলা থেকে রেহাই পেতে শুধু জেলের বাইরে থাকতে চায়। এটিই একমাত্র প্রেরণা ও উদ্দেশ্য।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরের দিকে ইসরায়েলে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ শুরু করে হামাস। হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর ও অবৈধ বসতিতে অনুপ্রবেশ করে বহুমুখী হামলা চালায়। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭৫০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি বোমা হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ৪৭০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক হাজার ৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।