ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষের ৬১৩ জন মানুষ নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনে আহত হয়েছেন প্রায় দুই হাজার। এদিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সরাসরি হতাহতের কোনো সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি। তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত আহত ইসরায়েলির সংখ্যা ১৮৫৪।
আল জাজিরার খবর বলছে, ফিলিস্তিনিদের দিক থেকে আকস্মিক এবং নজিরবিহীন হামলায় গতকাল শনিবার থেকে আজ রোববার পর্যন্ত অন্তত ৩০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
গাজা উপত্যকায় গতকাল থেকে চালানো ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় দুই হাজার। আজ ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতাহতের এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েল বলেছে, তাদের বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামাসের গোয়েন্দা প্রধানের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, হামাসের গোয়েন্দা প্রধানের ওই বাড়িটি সামরিক অবকাঠামো হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
এ ছাড়া সেনাবাহিনী গাজা ভূখণ্ডজুড়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, যুদ্ধে শত শত ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত হয়েছে এবং কয়েক ডজন যোদ্ধাকে বন্দি করা হয়েছে।
হাগারি তেল আবিবে সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় ব্যাপক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা হামাস নেতাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করছি।
এদিকে হামাসের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো ইসরায়েলি বন্দিদের গাজা উপত্যকায় জীবিত অবস্থায় ধরে আনার বহু ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছে। হামাস বলেছে, আটক ইসরায়েলিদের সংখ্যা ইসরায়েল যা জানে তার চেয়েও অনেক বেশি।
এর আগে ইসরায়েলিদের তৈরি অবৈধ বসতিগুলো লক্ষ্য করে আকস্মিক ও অতর্কিত হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। একই সঙ্গে ইসরাইলের ভেতরে ঢুকেও হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। এর জবাবে গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরাইল। এখনও দুই পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা চলছে।