ঝিনাইগাতীতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে শাহ আলম (৪০) নামে আরেক অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের কুচনীপাড়া গ্রামের এক ধান ক্ষেতের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত শাহ আলম শ্রীবরদী উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের ধাতুয়া আড়াইলেরকান্দা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি তিন সন্তানের জনক।
এদিকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম, সহকারি পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) দিদারুল ইসলাম, ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল আলম ভ‚ঁইয়া পরিদর্শন ঘটনাস্থল করেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অটোচালক শাহ আলম ইতিপূর্বে ঢাকায় কাজ করতেন। তার উপার্জিত আয় দ্বারা সংসার চালাতে না পেরে তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। গ্রামে এসে প্রায় দুই লাখ টাকা দিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ক্রয় করে সংসার চালাতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সন্ধ্যায় তিনি তার অটোরিকশাটি নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ী ফিরে আসেননি। সারারাত তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। পরে রবিবার সকালে স্থানীয় লোকজন কুচনীপাড়া গ্রামের ধানক্ষেতের পাশে অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় নিহত শাহ আলমের গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, নিহত অটোচালক শাহ আলমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ডাক্তারী রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। অটোচালক শাহ আলম হত্যার পিছনে কে বা কারা জড়িত আছে তা তদন্ত ও জড়িতদের শনাক্ত পূর্বক আটকের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে ঝিনাইগাতী উপজেলার বড় রাংটিয়া এলাকার সীমান্ত সড়ক সংলগ্ন একটি খাল থেকে নিখোঁজ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক মো. আরব আলীর (২১) লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক আরব আলীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মরদেহ খালে ফেলে রাখার সঙ্গে জড়িত মূল হত্যাকারী ৩ জন এবং উদ্ধারকৃত মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত আরও ৪ জনসহ মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার।