হবিগঞ্জের লাখাই প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সহ সভাপতি সাংবাদিক আশীষ দাশগুপ্তর বিরুদ্ধে ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জার সহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য খারাপ আপত্তিকর বক্তব্য ভাইরাল করার অভিযোগে সাইবার নিরাপত্তা আইনে সানি চন্দ্র বিশ্বাস নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলা ধারা- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৪/২৫/২৯/মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিবরনীতে জানা যায় লাখাই উপজেলার স্বজনগ্রামের রাখেন চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে সানি চন্দ্র বিশ্বাস (২৪) সে সর্বদা অন্যের কুৎসা রটনা করে সমাজে একজনের সাথে অন্যজনের ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টিতে বাস্ত থাকে। সে স্বজনগ্রাম সমিতি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এর কৃষক গ্রুফ নং ৩ নিয়ে বিরোধ বিদ্যমান ছিল।
উক্ত সমিতির সভাপতি আশীষ দাশগুপ্ত বর্তমানে গ্রুপের পদ পদবী থেকে বহিষ্কৃত। আশীষ দাশ গুপ্ত সরকারী কৃষি পাওয়ার টিলার সিডর ভূর্তুকি মূল্য দিয়ে বৈধভাবে ক্রয় করে। এলাকা ও অন্যান্য এলাকায় হালচাষের সময় হলে সে ব্যবহার করে। বর্তমানে তার নিকট আছে। মামলার বিবরনীতে আশীষ দাশগুপ্ত বলে আমার উন্নতিতে হিংসা পরায়ন হয়ে ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে আসামি আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা, মানহানি করা ও আমার কাছ থেকে আর্থিকভাবে অন্যায় লাভের আশায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অনৈতিক লেখালেখির মাধ্যমে আমাকে ছোট করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে। শুধু তাই নয় আসামি বিভিন্ন লোকজনকে বলাবলি করে যে তাহাকে তিন লক্ষ টাকা প্রদান না করলে আমার নামে বিভিন্ন ধরনের খারাপ সংলাপ অপপ্রচার করিয়া ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিবে।
এরই ধারাবাহিকতায় সানি চন্দ্র বিশ্বাস আশীষ দাশগুপ্ত কে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে ও আশীষ দাশগুপ্ত এর কাছ থেকে অবৈধ ভাবে অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে ফেসবুক সহ আরও বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আশীষ দাশগুপ্তের ছবি সংযুক্ত করে খারাপ সংলাপ, বিভিন্ন খারাপ মন্তব্য উল্লেখ করা আপলোড করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করে।
উল্লেখ্য যে, সানি সুপ্রভাত মিশিগান নামীয় অনলাই পোর্টালে আমাকে জড়িয়ে “লাখাইয়ে ভর্তুকির কৃষি যন্ত্র দিয়ে চলছে রমরমা বাণিজ্য” প্রচার করে। অথচ উক্ত মেশিনটি আমার দখলে আছে। আসামি তাহার নিজ নামীয় ফেসবুকে আইডি থেকে প্রান্তিক কৃষকদের ভর্তুকির কৃষি যন্ত্র সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ক্রয় করে রমরমা বাণিজ্য করছে দালাল চক্র। দেখার কেউ নেই ক্যাপশন দিয়ে আমার ছবি সংযুক্ত করে পোষ্ট করে।
খবর প্রচারে আমার এলাকায় আসামি সানি চন্দ্র বিশ্বাসের গোষ্ঠির লোকদের মধ্যে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। যেকোন সময় আইন শৃংঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে। আশীষ দাশগুপ্ত আরো বলেন আসামি উক্ত সংবাদ ও অনলাইনে থাকা বক্তব্য, যদি তিন লক্ষ টাকা দেই তাহলে সবগুলো ডিলিট করবে বলে হুমকি দিতেছে। আসামি সানি চন্দ্র বিশ্বাস উপরোক্ত কার্যকলাপের ফলে অর্থাৎ ইন্টানেটে আমার নামে অশ্লীল সংলাপ ও ভাইরাল ছড়াইয়া দিয়া স্থানীয় এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। যাতে আসামি ও আমার আত্মীয় স্বজন সহ গোষ্টীর বা সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে সামাজিক দাঙ্গাসহ খুন খারাবির মত বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সমূহ সম্ভাবনা বিরাজমান। গত বৃহস্পতিবার ৫ অক্টোবর আশীষ দাশগুপ্ত বাদী হয়ে সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করলে মামলাটি সুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক সাইবার ট্রাইব্যুনাল জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মনির কামাল মামলা টি তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ পিবিআইতে প্রেরণ করেন।