শরীয়তপুরের জাজিরায় স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া থামাতে বলায়, প্রতিবেশীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে আরেক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ঝগড়া থামাতে বলার অপরাধে ইয়াবা দিয়ে পুলিশে দেয়ারও হুমকিও দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী প্রতিবেশী ওই পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সেনের চর ইউনিয়নের আব্দুল রশিদ ঢালী কান্দি গ্রামে। গত ৪-অক্টোবর (বুধবার) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই দিন সকালেই ভুক্তভোগী আব্দুল লতিফ ঢালী, বাদী হয়ে জাজিরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লতিফ ঢালীর প্রতিবেশী জলিল দেওয়ান, প্রায় প্রতিদিন রাতেই স্ত্রীর সাথে ঝগড়া-মারামারি করেন। এতে তার প্রতিবেশীদের নানান সমস্যা সৃষ্টি হয়।
ঘটনার দিন রাতে তারা তাদের ঘরের মধ্যে ঝগড়া মারামারি করেন। সারারাত তাদের ঝগড়ায় অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবেশী লতিফ ঢালীর মেয়ে লতা আক্তার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। এবং ঘুমে সমস্যা হচ্ছে বলে ঝগড়া থামতে বলেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে জলিল দেওয়ান, তার দুই কিশোর পুত্র সাব্বির (১৯) ও রাব্বি (১৭) এবং জলিলের স্ত্রী লাভলি আক্তার (৩৫) লাঠিসোঁটা নিয়ে মারতে আসেন। এসময় জলিলের স্ত্রী লাভলির কামড়ে আহত হন লতিফ ঢালীর মেয়ে লতা আক্তার।
ঘটনার বিষয়ে জানতে গেলে জলিল দেওয়ানকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। জলিলের স্ত্রী লাভলি জানান, তারা রাতে ঝগড়া করেন না। দিনেই তাদের ঝগড়া হয় বেশি। ঘটনার দিন রাতে টাকা হারানো নিয়ে রাত তিনটার দিকে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এসময় লাভলী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, তার ঘরে ঢুকে তার ফ্যান ভেঙেছে লতিফ ঢালীর মেয়ে। এবং সুকেশ ভেঙে ১৫ হাজার টাকাও চুরি করেছেন লতিফ ঢালীর মেয়ে লতা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অভিযুক্ত জলিলের মা জানান, তার ছেলে জলিল এবং জলিলের স্ত্রী প্রায় প্রতি রাতেই মারামারি করে। কেউ থামতে বললেই মারতে আসে এবং গালিগালাজ করে। ঘটনার সময় জলিল আর জলিলের স্ত্রীই লতাকে মেরেছে। লতা বা তার বাবা লতিফ ঢালী আমার ছেলের ঘরে যায়নি।
এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।