ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ এবং নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় ও আমিষ সরবরাহে ইলিশের গুরুত্ব অপরিসীম।
দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান রয়েছে সর্বোচ্চ (প্রায় ১১ ভাগ) এবং জিডিপিতে অবদান ১%। উপকূলীয় মৎস্যজীবীদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস হচ্ছে ইলিশ। প্রায় ৫.০ লক্ষ লোক ইলিশ আহরণের সাথে সরাসরি নিয়োজিত।
এবং ২০-২৫ লক্ষ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।
বিশ্বে ইলিশ আহরণকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন শীর্ষে। সারা বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের প্রায় 80 শতাংশ ইলিশ আহরিত হয় এ দেশের নদ-নদী থেকে।
তাই মা ইলিশের বিচরণ ও অভিপ্রয়াণ নিরাপদ রেখে, প্রজননের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ইলিশের প্রবৃদ্ধি অক্ষুন্ন রাখার লক্ষে।এ বছর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ০২ নভেম্বর ২০২৩ (২৭ আশ্বিন হতে ১৭ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ) পর্যন্ত।
মোট ২২ দিন “সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০১০” এর ধারা ৩ (২) মোতাবেক বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায়। সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক ইলিশসহ যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ, পরিবহন, বাজারজাত, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে।
গত বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে, জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।