কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতে ও বুধবার ভোরে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উখিয়ার ক্যাম্প-৯ এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ ওরফে চাকমাইয়া, আরসার কিলিং গ্রুপের শীর্ষ কমান্ডার ও ১৫ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা আরাফাত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল।
তিনি জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’গ্রুপে এসব সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত ইউসুফ ওরফে চাকমাইয়ার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক সাব-মাঝি জানান, মঙ্গলবার রাতে ক্যাম্প-৮ ডব্লিউ এলাকায় সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসা ও আরএসওর মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। এতে আরএসওর ছোড়া গুলিতে আরসার কিলিং গ্রুপের শীর্ষ কমান্ডার চাকমাইয়া ইউসুফ গুলিবিদ্ধ হন। পরে গলাকেটে তাকে হত্যা করা হয়।
এদিকে, এ ঘটনার জের ধরে আরসার সদস্যরা বুধবার (৪ অক্টোবর) ভোরে ১৫ নম্বর ক্যাম্পে আরএসওর ওপর হামলা চালান। এ সময় আরাফাত নামে আরএসওর এক সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন আরসা সদস্যরা।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক আমির জাফর।
ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা জানান, চাকমাইয়া ইউসুফ আরসার কিলিং স্কোয়াডের শীর্ষ কমান্ডার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে অবস্থান করছিলেন। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরসা বিরোধী অভিযান এবং আরএসওর হাতে একের পর এক সদস্য নিহতের ঘটনায় দুর্বল হয়ে পড়ে আরসা। ফলে ক্যাম্পে কিলিং মিশন চালানোর জন্য আরসা প্রধান চাকমাইয়া ইউসুফকে সম্প্রতি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠান।