নীলফামারীর জলঢাকায় ডিএসবিতে কর্মরত পুলিশের এসআই জহুরুল ইসলাম (৪১) তার বন্ধু মোনাইম হোসেন সুজন (৪০) সহ যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন। রাজশাহীতে একটি মামলার সাক্ষী দিয়ে ফেরার পথে তারা এই সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হন।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর সরকারি কলেজ সংলগ্ন তেল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ গোলাম সবুর, পিপিএম এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিহত জহুরুল ইসলাম দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার লক্ষ্মীপুর জয়নগর গ্রামের মোঃ আফফার উদ্দিনের ছেলে। অপর নিহত মোনাইম হোসেন সুজন (৪০) খয়েরবাড়ি মির্জাপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। নিহতরা সম্পর্কে বন্ধু।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত পুলিশ কর্মকর্তা নীলফামারীর জলঢাকায় ডিএসবিতে এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে গতকাল রাজশাহী জেলা আদালতে সাক্ষ্য দিতে যান। সাক্ষ্য শেষে বন্ধুসহ মোটর সাইকেলযোগে নিজ বাড়ি ফুলবাড়ী উপজেলায় যাচ্ছিলেন।
পথে বিরামপুর সরকারি কলেজ সংলগ্ন তেল পাম্পের সামনে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা নওগাঁগামী ফারুক পরিবহন নামের বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মোঃ গোলাম সবুর জানান, রাজশাহী আদালতে সাক্ষ্য শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এই চৌকষ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, মাত্র একদিন আগে ডিএসবির এসআই জহুরুল ইসলামের বিয়ে হয়েছে। এখনো হাতে মেহেদীর রং লেগে আছে। নববধূর সাথে মাত্র কয়েক ঘন্টা অতিবাহিত করে দায়িত্ব পালনে গিয়ে ঘাতক চালকের হাতে মৃত্যু বরণ করতে হলো। এতে নববধূসহ পরিবারে নেমে এসেছে অবর্ণনীয় শোক।