দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ জনপদ মাগুরায় রাজনীতিবিদদের মধ্যে এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন জননেতা মনোয়ার খান। শীর্ষ এ জননেতা জন্মসূত্রে মাগুরা পৌরসভার এক নাম্বার ওয়ার্ডের আবালপুর গ্রামের স্থায়ি বাসিন্দা। ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন আদর্শের সৈনিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন তিল-তিল করে। মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন খুলনা বিএল কলেজে, সেখান থেকে পাশ করার পর অত্যন্ত মেধাবী মনোয়ার হোসেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের জিয়োগ্রাফি বিভাগে ভর্তি হয়ে কৃতিত্বের সাথে পড়াশুনা সম্পন্ন করেন। এ সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় ছাত্রনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
১৯৮৬ সালে (জালাল-বাবলু) কমিটিতে তিনি প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য নির্বাচিত হন।
এর কিছুদিন পরে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি স্বক্রীয় ভূমিকা পালন করে চলে আসেন লাইমলাইটে।
তিনি জনপ্রিয় জননেতা হিসেবে ২০০৩ সালে মাগুরা পৌরসভায় মেয়র নির্বাচন করে আত্মপ্রকাশ করেন।
এরপর জননেতা মনোয়ার হোসেন ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে কারাবন্দী থাকা অবস্থায় নির্বাচন করেন।
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থেকেও তিনি এখনো জেলাবাসীর অন্যতম প্রধান ভরসাস্থল হিসেবে নিজেকে করেছেন উদ্ভাসিত, প্রতিষ্ঠিত। তাঁর মাধ্যমে জেলার হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার যুবক পেয়েছে কর্মস্থল। অভিশপ্ত বেকার জীবনের অন্ধকার পথ অতিক্রম করে হয়েছেন পরিবারের নির্ভরতার প্রতীক।
দু:স্থ, অসুস্থ ও অপেক্ষাকৃত অস্বচ্ছল মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবেও মনোয়ার খানের নাম আমজনতার মুখে মুখে।
তিনি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল থেকে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালে একক জিএম হিসেবে দীর্ঘ দিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পরবর্তীতে তিনি রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যালের ডিরেক্টর হিসেবে এবং টেকনো ড্রাগসের সিইও হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি মাগুরা আইডিয়াল টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। । এছাড়া ছোট ফালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। মাগুরা ডায়াবেটিস সমিতি, মাগুরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, মাগুরা ফাউন্ডেশন, মাগুরা রোগী কল্যাণ সমিতি ও টাউন হল ক্লাব মাগুরার আজীবন সদস্য।
এদিকে মাগুরার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বললে দলমত নির্বিশেষে বেশ ক’জন সচেতন মানুষ এই প্রতিবেদককে বলেন, বর্তমান মাগুরা জেলাবাসীর জন্য মনোয়ার হোসেন খান আল্লাহ প্রদত্ত আশীর্বাদ স্বরূপ। তিনি আমাদের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন নিভৃতে নীরবে। নি:স্বার্থভাবে তিনি সাধারণ মানুষের সুখে-দু:খে সবসময় সবার আগে থাকেন। আমাদের বিশ্বাস তাঁর জীবদ্দশায় আমৃত্যু এ ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে।