চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা থানাধীন বগাদী গ্রামের মিন্টু আলমডাঙ্গা থানায় বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন যে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মোবাইল নং-০১৯০৯-৫৫১৬৫৫ থেকে বাদীকে কল করে নিজেকে সন্ত্রাসী পরিচয় দিয়ে ১,০০,০০০/-টাকা চাঁদা দাবী করে। বাদী উক্ত টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ সপরিবারে বোমা মেরে হত্যার হুমকি প্রদান করে।পরবর্তীতে গত ২৭.০৯.২০২৩ খ্রি: রাত অনুমান ১টা৭ মিনিটে বাদীকে সপরিবারে হত্যার উদ্দেশ্যে বাদীর বাড়ীতে বোমা নিক্ষেপ করে। বোমাটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাদীর শয়ন কক্ষের সামনে টয়লেটের গোসলখানার ছাউনির উপর পড়ে বিকট শব্দে উক্ত ঘরের টিন আংশিক পুড়ে যায়। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানার মামলা নং-২৭, তারিখ-২৯.০৯.২০২৩খ্রি:, ধারা-৩৮৫/৩৮৭ পেনাল কোড, তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩/৪ ধারা রুজু করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন তাৎক্ষণিকভাবে জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি) ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে বর্ণিত ঘটনার মূলরহস্য উদঘাটনসহ আসামী গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে জনাব ফেরদৌস ওয়াহিদ, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখার নেতৃত্বে সাব-ইন্সপেক্টর শহিদুল বাশার, সুমন্ত বিশ্বাস, মুহিদ হাসান, এসআই দেবাশিষ মহলদার, আলমডাঙ্গা থানা, সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ রজিবুল হক, বিজন ভট্টচার্য, রমেন কুমার সরকার সঙ্গীয় ডিবি ও আলমডাঙ্গার ফোর্সসহ পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ৩০.০৯.২০২৩ খ্রি: রাত ০২:০০ ঘটিকায় ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামীরা পরস্পরের যোগসাজসে বিভিন্ন এলাকার ধনাঢ্য লোকদের টার্গেট করে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য মোবাইল ফোনে চাঁদাদাবী করে, চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে হত্যা, গুম ও বোমা বিস্ফোরণের হুমকি প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম ও ঠিকানাঃ
১) মোঃ রকিবুল ইসলাম(৩৬), পিতা-মোঃ আব্দুল্লাহ, সাং-বগাদী, থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা।
২) মোঃ রাজ্জাক আলী(৪৩), পিতা-মৃত রমজান আলী, সাং-সাহেবপুর, থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা
৩) মোঃ স্বপন আলী(৪৩), পিতা-মৃত বিল্লাল হোসেন, সাং-সাহারবাটী, থানা-গাংনী, জেলা-মেহেরপুর।