ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের (এলজিইডি) আওতাধীন একটি নতুন সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, সড়ক নির্মাণের জন্য মাটি খননের পর সড়ক রোলার না করা। বালুর বদলে মাটি মিশ্রিত রাবিস বালু দিয়ে বালু ফিলিং করা এবং সড়কের সাব-ব্যাচে রাবিশ বালু ব্যবহার করার অভিযোগ উঠছে।
এদিকে মাটি মিশ্রিত রাবিশ বালু দিয়ে বালু ফিলিং ও সাব ব্যাচ করলে কমপেসার ভালো হয় বলে দাবী করেছেন সড়কটির কাজ বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম রুমান।
তবে ঠিকাদারের এ দাবী সঠিক নই দাবী করে ওই সড়কের কাজ তদারকি কর্মকর্তা আলী হোসেন বলেন, বালু ফিলিং ও সাব ব্যাচে অব্যশই চিকন বালু ব্যবহার করতে হবে। কোন ভাবেই মাটিযুক্ত রাবিশ বালু ব্যবহার করা যাবে না।
নির্মাণাধীন এই সড়কটি উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের খুটিয়াটলি বাজার ভায়া হয়ে বনগাঁও মোড় থেকে বনগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পূর্বের পাকা সড়কে সংযোগ হয়েছে।
উপজেলা এলজিইডি সুত্রে জানা যায়, ৫৭০ মিটার নতুন সড়ক নির্মানে ৫৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯১ টাকায় চুক্তি বদ্ধ হয়েছে ঠাকুরগাঁও ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম রুমান।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খননকৃত সড়কটির বিভিন্ন স্থানে স্তুপ করে রাখা হয়েছে খোয়া ও রাবিশ বালু। তাছাড়া দুই সাইডের এজিং এর ইট বসানো হচ্ছে।
দেখা যায়, সড়কের সাব-ব্যাচের জন্য আনা বালু’র আদলে মাটি মিশ্রিত রাবিশ বালু স্তুপ করে রাখা রাবিশ ও খোয়া সড়কে বিছানো হচ্ছে। তবে বালু ও খোয়া নিয়ে বেশ আপত্তি স্থানীয়দের। এ নিয়ে তাদের মাঝে বেশ ক্ষোভ রয়েছে।
স্থানীয়দের মধ্যে ফিরোজ আলী,আনিসুর রহমান সহ অনেকে বলেন, খোয়া ও এজিং এ নিন্ম মানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। বালু’র বদলে মাটি বালু দেওয়া হচ্ছে। নাম মাত্রে একবার রোলার করা হয়েছে।
সড়কে বালু ফিলিং এর পর পানি দিয়ে রোলার করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। তাছাড়া সড়কটির নির্মাণের বিস্তারিত বণনা দিয়ে সাইনবোর্ড দেওয়ার কথা থাকলেও তা সাটানো হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন।
ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম রুমান গতকাল শুক্রবার মুঠোফানে বলেন, কিছু ইট খারাপ থাকতে পারে । কারণ ইটগুলো বাহির থেকে আনা হচ্ছে। ইটের ভেতরে কিছু ইট খারাপ থাকলে সেগুলো কাজে না লাগানোর জন্য মিস্ত্রিদের বলা রয়েছে।
মাটি যুক্ত বালু বিছানো বিষয়ে বলেন, মাটি বালু দিয়ে বালু ফিলিং ও সাব ব্যাচের কাজ করলে সড়কের কমেপসার ভালো হয়। তাই এভাবে কাজ করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে রাণীশংকৈল উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী(চলতি দায়িত্বে) মাইনুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার মুঠোফোনে বলেন, চিকন বালু দিয়েই বালু ফিলিং ও সাব ব্যাচের কাজ করতে হবে। কোনভাবেই রাবিশ বালু ব্যবহারের সুযোগ নেই। বিষয়টি গুরত্ব সহকারে দেখা হবে।