প্রতি বছরের মতো এবারও মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ জশনে জুলুশ (আনন্দ শোভাযাত্রা) অনুষ্ঠিত হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক ও শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মদিন পালনে হাজার হাজার মানুষ র্যালী ও সমাবেশে অংশ গ্রহণ করে।
সকাল ৮ থেকে পাড়া-মহল্লা, মসজিদ-মাদরাসা, খানকাহ থেকে পৃথক পৃথক দলে সমবেত হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে মাঠে। পরে বেলা সাড়ে ১০ টায় শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রেলমাঠেই ফিরে আসে। এতে নেতৃত্ব দেন ভারত থেকে আগত পীরে তরিকত সৈয়দ জামাল আশরাফ আল আশরাফী আল কাদেরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আহসান আদেলুর রহমান, সৈয়দপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নীলফামারী জেলা সভাপতি আলহাজ্ব গুলজার আহমেদ আশরাফী, সেক্রেটারী ও সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিটলার চৌধুরী ভলু প্রমুখ।
শোভাযাত্রা শেষে রেলওয়ে মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উল্লেখিত নেতৃবৃন্দ বক্তব্য শেষে দুরুদ পাঠ ও দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্তি করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে পুরো শহরে তোরণ নির্মাণ এবং মসজিদ মাসরাসা ও খানকাহসমুহে আলোকসজ্জা করা হয়।
শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত পিকআপ, ট্রাক, অটোরিকশায় মাইক, ব্যানার, জাতীয় ও কলেমা খচিত পতাকা লাগানো হয়। মোটর সাইকেলে সবুজ পতাকা নিয়ে নাতে রাসুল (সা.) বাজিয়ে ও হাজার হাজার মানুষ সমস্বরে আল্লাহ আকবার ধ্বনি দিয়ে মুখরিত করে তোলে পুরো শহর। প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ দীর্ঘ ১ ঘন্টাব্যাপী প্রদক্ষিণকালে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ ও নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়। সাধারণ পুলিশসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করে। সেই সাথে আয়োজক কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও সহযোগিতা করে। ফলে অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে বেলা ৩ টায় দাওয়াতে ইসলামি নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে পৃথক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। রেলওয়ে মাঠে থেকে বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে রেলওয়ে পুলিশ ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। এতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করে।