নওগাঁর আত্রাইয়ে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানি বন্দী হয়ে পড়েছে নদী তীরের গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার। গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ এবং ওজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে ফুঁসে ওঠে নদীর পানি। বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত পানি প্রবাহিত হওয়ার ফলে দেখা দেয় নদীতীরবর্তী এলাকায় বন্যা।
২৮শে সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে কাশিয়াবাড়ি বলরামচক বন্যা রক্ষা বাঁধে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার আত্রাই-বান্দাইখাড়া সড়কের নন্দনালী নামক স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে। এক পর্যায় ভাঙনের শুরু হলে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়ে যায়। পরে আত্রাই উপজেলা চেয়াম্যান আলহাজ এবাদুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে স্থানীয় লোকজন বাঁশ পাইলিং করে বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধ করেন। ঝুঁকি পুর্ণ রয়েছে বারুনীতলা সহ বেশ কয়েক টি স্থান।
এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী রাইপুর, মিরাপুর,ফুলবাড়ি,রসুলপুর মধ্যেপাড়া,উদনপৌ, নন্দনালী, শলিয়া,তাড়ানগর, রায়পুর, আটগ্রাম,ডাঙ্গাপাড়া, রসুলপুর, জাতোপাড়া,জাতআমরুল,জিয়ানীপাড়া,শিবপুর, জগদাস, পারমোহনঘোসসহ প্রায় ২৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দি এসব মানুষ দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন।
শাহাগোলা ইউপির মহিলা ইউপি সদস্য রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা অরুনা আক্তার বলেন, দুই দিনের মধ্যেই অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমাদের প্বার্শবর্তী জাতপাড়া গ্রামসহ অন্যান্য গ্রামের বিপুল সংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এসব পানিবন্দি মানুষের জন্য সরকারীভাবে এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি।
আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণে আমরা সর্বচ্চো চেষ্টা করছি। কোথাও বাঁধ ভেঙে কৃষকের যেন ফসলহানি না হয় এ জন্য সার্বক্ষণিক আমরা পর্যবেক্ষণে রয়েছি। পানিবন্দি মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। সরকারীভাবে সহযোগিতার জন্য চাহিদাপত্র উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।