বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ী মুক্তি দিয়ে অবিলম্বে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপিপন্থি নারী আইনজীবীরা। তাকে চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশ পাঠানো না হলে এর পরিণাম শুভ হবে না বলে তারা সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নারী আইনজীবীদের সমাবেশে তারা এ হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আসিফা আশরাফী পাপিয়া বলেন, উন্নত চিকিৎসা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সেই সাংবিধানিক অধিকার সরকার ক্ষুণ্ন করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে পাপিয়া বলেন, আপনার অসুস্থতার কথা স্মরণ করুন। আপনার নেত্রীকে সব সময় ভুল পথে পরিচালনা করবেন না। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা স্মরণ করুন। নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন।
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে যে হিংস্রতা-স্বার্থপরতা দেখাচ্ছেন এর শেষ কিন্তু আছে। সরকার দেশের প্রতিটি সেক্টর নিষ্ঠুর, নির্মমভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। এই নিয়ন্ত্রণের রোষানলে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মৃত্যুর যাতাকলে পিষ্ট হচ্ছে।
বিএনপি নেত্রী অ্যাডভোকেট পাপিয়া বলেন, শেখ হাসিনা ওয়াজেদকে বলতে চাই- খালেদা জিয়াকে শর্তহীন মুক্তি দিতে হবে। কোনো শর্ত আমরা মানি না। না হলে আপনার ক্ষেত্রেও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নী বলেন, চিকিৎসা প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। বার বার বলছি-চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার থেকে দেশনেত্রীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
নাসরিন মুন্নী আরও বলেন, দেশের কোনো আদালত খালেদা জিয়ার জামিন দিতে পারেননি। এটা অত্যন্ত দু:খের। একবারের জন্য হলেও মানবিক হোন। দেশের ১৮ কোটি মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়, চিকিৎসা চায়।
সমাবেশ পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার। এসময় আরও বক্তব্য দেন ড. আরিফা জেসমিন নাহিন, অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা দীপ্তি, শাম্মী, মৌসুমি আক্তার, আফসানা সুভ্রা, টুম্পা রিফাত, জেসমিন আক্তার, মিনা বেগম মিনি, মেহবুবা জুই, আনজুম আরা মুন্নী, সৈয়দা লাইলি, নুর বাধন প্রমুখ।