1. admin@crimenews24.net : cn24 :
  2. zpsakib@gmail.com : cnews24 :
শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পুরাতন সাতক্ষীরা মোড়ে গণআন্দোলন জোটের পথসভা মৌলভীবাজারে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রী চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত  মৌলভীবাজারে পুলিশ সুপার’র সাথে সাংবাদিকদের  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে বেসরকারি ৩ ক্লিনিকের দুই লাখ টাকা জরিমানা  আলমডাঙ্গায়  সংবাদ সম্মেলন করেছে ফিড ব্যাবসায়ী বাবুলার রহমান নারায়ণগঞ্জে আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষে তরুণদের র‍্যালি, মানববন্ধন তানোর মহিলা ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  তানোরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ বহাল রাখতে নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যানের স্মারকলিপি প্রদান রায়পুর, হাসাদহ এবং  কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্প আকস্মিক পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার

বিদ্যালয় নদী গর্ভে, খোলা মাঠে টিনের ছাউনির নিচে পাঠদান

সেলিম রেজা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৮৭ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

যমুনা নদীর তিব্র ভাঙনে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মেহেরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবণ নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। এতে ঐ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পরার হাত রক্ষা করতে খোলা মাঠে টিনের ছাউনি তুলে পাঠদান কার্যক্রম সচল রাখার চেষ্টা করলেও হালকা ঝর- বৃষ্টি হলেই তা বন্ধ হয়ে যায়।

সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, বেলকুচি উপজেলার বড়ধূল ইউনিয়নের মেহের নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি সম্পূর্ণ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নদীর ২শ মিটার অদূরে একটি খোলা মাঠের উপর টিন দিয়ে একটি ছাউনি তুলে ভগ্নাদশা অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম চলাচচ্ছে। সেখানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মত নেই কোন ব্যবস্থা। নামমাত্র শিক্ষা কার্যক্রম সচল রয়েছে’। নেই সেখানে ক্লাস ব্যবস্থা।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানায়, নদীতে স্কুল ভবন ভেঙ্গে যাওয়ার পর তাদের পড়াশোনা করার জন্য যে ধরনের পরিবেশ থাকা দরকার তা এখন আর নেই। খোলা মাঠের উপর একটা ছাউনির নিচে বসে তাদের ক্লাস করতে হচ্ছে। আবার ক্লাস করার জন্য যে ধরনের পরিবেশ থাকা দরকার তা তাদের নেই বলে তাদের স্কুলের প্রতি আগ্রহ কমে গেছে বলে জানায় তারা।
অভিভাবকেরা জানান, ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার জন্য যে ধরনের পরিবেশ থাকা দরকার তা এখানে নেই। প্রধান শিক্ষক টিনের ছাউনি তুলে ২-৪ জন ছেলে মেয়ে নিয়ে বসে থাকে। এভাবে কোন মতে শিক্ষা কার্যক্রম চলতে পারে না। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের এলাকার ছেলে মেয়েরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি জিন্নাহ মোল্লা জানায়, স্কুলটি ভেঙে যাওয়ার পর আমি বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। তারা যদি কোমলমতি শিশুদের কথা চিন্তা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেন। তাহলে এ এলাকার ছেলে মেয়েরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না। তাছাড়া এই পরিবেশ কোনদিনই শিক্ষা কার্যক্রম চলতে পারে না।
মেহের নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ভাঙনের পর থেকে খোলা মাঠে ছাউনি তুলে আমরা শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছি। তবে শিক্ষার জন্য যে পরিবেশ থাকা দরকার তা এখানে নেই’।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানায়, চলতি বর্ষা মৌসুমে বেলকুচি উপজেলার বড়ধূল ইউনিয়নের দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেঙে নদী গর্ভে চলে গেছে৷ আমরা ওই দুটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা যেন ঝড়ে না পরে এজন্য অস্থায়ী ভাবে ছাউনি তুলে শিক্ষকদের শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে বলেছি। আর পাশাপাশি আমরা উর্ধতন কর্মকর্তাকে স্কুল সম্পর্ক জানিয়েছি। একটি ফান্ডের আশা করছি। ফান্ডটি পেলে খুব দুত আমরা ওই স্কুল দুটিতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আনতে পারবো।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2022 crimenews24.net
Design & Developed By : Anamul Rasel