পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। খুলনা অভিমুখে এ রোডমার্চ ঝিনাইদহ থেকে সকাল ১০টায় শুরু হয়। এর আগে ঝিনাইদহ বাস টার্মিনালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে দলটি।
কেন্দ্রীয় বিএনপিসহ ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি এ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কয়েক হাজার বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে যোগ দিয়েছেন। যার ফলে বাস টার্মিনালের যশোর-কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা-ঢাকা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে সাময়িক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।
পথচারীরা জানান, চার রাস্তার প্রবেশ পথ ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল। বিএনপির রোডমার্চ উপলক্ষে এখানে হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হওয়ায় মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসসহ যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে।
দেখা গেছে, ঝিনাইদহ-মাগুরা-যশোর-খুলনা হচ্ছে এ রোডমার্চের রুট। ঝিনাইদহ ৬ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা জেলার সব ইউনিটের নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছে। বিএনপির দেওয়া সময় অনুযায়ী সমাবেশ শেষ না হওয়ায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সমাবেশ দীর্ঘায়িত হলে যানজট বাড়তে পারে।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এম মজিদ জানান, ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সমাবেশের পর এ কর্মসূচি শুরু। বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা আসছে। যার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমাবেশ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কর্মসূচিতে প্রদান অতিথি হিসাবে যোগ দিয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সেই সঙ্গে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ রায়।
রোডমার্চ সফল করার উদ্দেশে জেলা বিএনপির সহসভাপতি আলাউদ্দিন আল মামুনসহ একাধিক নেতা বলেন, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচি হিসেবে এই রোডমার্চের আয়োজন।