প্রশান্ত মহাসাগরে দ্য কুক আইল্যান্ডস ও নিউই দ্বীপকে ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের’ মর্যাদা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ বলা হচ্ছে, চীনকে এই অঞ্চলে আরেকটু চাপে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত৷

সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দুটি দ্বীপরাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে৷ বাইডেনের মতে, এই দুই দ্বীপরাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হবে শিগগিরই৷

এতে করে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল ‘মুক্ত ও অবাধ’ হবে বলে বাইডেনের ধারণা৷ সাথে, এই পদক্ষেপ এই অঞ্চলে অবৈধ মাছ ধরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে যার ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে হাঁটবে এই অঞ্চল বলে জানান বাইডেন৷

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও নিউই এর প্রধান ডালটন টাগেলাগির যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু হয়৷

দুটি দ্বীপের মোট জনসংখ্যা মেরে কেটে ২০ হাজারের কাছাকাছি হলেও প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক এলাকায় তাদের দখল অনেকটাই৷

স্বশাসিত দেশ হলেও নিউজিল্যান্ডের ওপর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির জন্য নির্ভরশীল ছিল তারা৷ বিশ্ব রাজনীতিতে বেশ কয়েক বছর গুরুত্বহীন হয়ে ছিল প্রশান্ত মহাসাগরের এই অঞ্চল৷ কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ক্ষমতার লড়াইয়ে খুব অর্থবহ হয়ে উঠেছে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চল৷ লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ছে চীনের অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক আগ্রহ৷

আমেরিকার এই ঘোষণা বিশেষ একটি সময়ে এলো, যখন দোরগোড়ায় ১৮টি সদস্যদের নিয়ে প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরাম৷ এই ফোরাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ৷

এই ফোরামে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় রাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ছোট দ্বীপপুঞ্জ৷ কিন্তু এই ফোরামে নেই সলোমন দ্বীপের প্রধানমন্ত্রী মানাসেহ সোগাভারে, কারণ তার দেশ চীনের ঘনিষ্ঠ৷

ফোরামের উদ্বোধনী পর্বে বাইডেন বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলকে নিরাপদ, মুক্ত, অবাধ ও উন্নয়নমুখী করতে আমেরিকা বদ্ধপরিকর৷ এই লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ৷

এই দুটি দ্বীপরাষ্ট্রের স্বীকৃতি আমেরিকাকে তাদের কাজ আরো বিস্তৃত করতে সাহায্য করবে বলে জানান তিনি৷ বাইডেন আরও জানান, এখানে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে, অবৈধ মাছ ধরা নিয়ন্ত্রণে এবং গণস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে৷