প্রথম ম্যাচে মিয়ানমারের কাছে আত্মঘাতী গোলে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে পরাজয়ে এশিয়ান গেমস থেকে বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের। তাই শক্তিশালী চীনের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য ছিল স্রেফ নিয়মরক্ষার। তবে ভালো ফুটবল খেলে স্বাগতিকদের রুখে দিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) হ্যাংজুর শাওশান স্পোর্টস সেন্টার স্টেডিয়ামে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠেছিল ম্যাচ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্রয়ে মাঠ ছেড়েছে উভয় দল। প্রথম দুই ম্যাচ থেকে কোনো পয়েন্ট না পেলেও শেষ ম্যাচে ১ পয়েন্ট পেল বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচে মিয়ানমার ও ভারতকে উড়িয়ে দেওয়া চীন নিজেদের শেষ ম্যাচে পয়েন্ট হারাল।
ম্যাচের ২০তম মিনিটে জনির দারুণ শট সেভ করেন চীনা গোলরক্ষক। এরপর ফয়সাল হোসেন ফাহিমের একক প্রচেষ্টা শেষ হয় গোলরক্ষকের গায়ে লেগে কর্নারের বিনিময়ে। এরপর কর্নার আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। তবে প্রথমার্ধের শেষভাগে চীনও সেরা সুযোগ পেয়েছিল। গোলকিপার আর ডিফেন্ডারদের কল্যাণে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে তারা একাধিক আক্রমণ করে। তবে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।
এশিয়ান গেমস ফুটবলে এর আগে দুইবার চীনের বিপক্ষে খেলে দুইবারই হেরেছিল বাংলাদেশ। ১৯৮২ সালে দিল্লি এশিয়াডে ১-০ গোলে হার মেনেছিল বাংলাদেশ। তখন গেমস ফুটবলে খেলতো জাতীয় দল। এরপর ২০০২ সালে বুসান এশিয়াড থেকে শুরু হয় গেমস ফুটবলে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের খেলা। ওইবার বাংলাদেশ বুসানে উদ্বোধনী ম্যাচে চীনের কাছে হেরেছিল ৩-০ গোলে।
তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্টে নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে পরের রাউন্ডে গেছে চীন। আর তিন ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে থেকে গেমস থেকে বিদায় নিলো হাভিয়ের কাবরেরার দল। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ থেকে ১০৯ ধাপ এগিয়ে চীন। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা এমন এক ড্র করবে সেটা হয়তো কেউ ভাবেনি। তবে সেই চীনকে তাদেরই ঘরে মাঠে রুখে দিয়ে শেষটা রাঙিয়ে দেশে ফিরবে ফুটবলাররা।