বিশেষ প্রতিনিধি:
শুধু মাত্র ডাইল বা ফেন্সিডিলের নেশায় মেহেরপুর আমঝুপি ডিডি ( তৈল বীজ) এখন দত্তনগরের করিঞ্চায়।
সূত্র মতে নয় এর দশক থেকে ফেন্সিডিল বা ডাইলে আসক্ত এক সময়ের মেধাবী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ওই ডিডি। যেহেতু ছাত্র জীবন থেকেই তিনি ডাইলে আসক্ত তাই চাকরী পাওয়ার পরও সে ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকে।
এদিকে বিশ্বস্ত একটি সূত্র চুয়াডাঙ্গা থেকে জানিয়েছে, একসময় এই ডিডির ডাইল পার্টনার ছিলো চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার মাছপট্টির একজন সুনামধন্য মৎস্য ব্যবসায়ীর বড় ছেলে। যিনি নিজেকে গণমাধ্যম কর্মী হিসেবেই পরিচয় দিতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
এদিকে অপর আরেকটি সূত্র জীবননগর থেকে জানিয়েছে গত সপ্তাহে এই করিঞ্চা ডিডির এক বিশ্বস্ত ফেন্সিডিল সাপ্লায়ার জীবননগর সীমান্তের হরিহর নগর থেকে ভারতীয় ইনটেক ডাইল নিয়ে ফেরার পথে বিজিবির হাতে গ্রেফতার হন। এ খবর পেয়ে দ্রুত বিভিন্ন তদবির এর মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা খরচ করে তার জন্য ডাইল বহনকারী ওই ব্যক্তি কোনোমতে মুচলেখা দিয়ে ছাড়িয়ে নিতে সক্ষম হন।
বিভিন্ন সময় চুরিচামারি আর লুটপাটের শীর্ষে থাকা দত্তনগর কৃষি খামার এম্নিতেই সারাবছর আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
ইতিপূর্বে বীজ আত্মসাতের ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার দুদকের মামলায় যখন এই খামারের ৮ কর্মকর্তা গ্যাড়াকলে তখন এই খামারের অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছ ডিডিদের এই খামারের দায়িত্ব দেওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
সচেতন মহল বলছে যখন কোনোভাবেই এই লুটপাট বন্ধ করা যাচ্ছেনা, তখন কার স্বার্থে একজন চিহ্নিত মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে এখানে ডিডি হিসেবে যোগদান করানো হলো?
তবে সূত্রের দাবি, আমঝুপি খামার থেকে করিঞ্চা খামারে যোগদান করতে তাকে মোটা অংকের নজরানা দিতে হয়েছে ঘাটে ঘাটে।
এ বিষয়ে ডিডি করিঞ্চার বক্তব্য জানার জন্য ২৩/০৯/২০২৩ তারিখ রাত ৭ টা ৩৭ মিনিটে দুবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করাই তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
( এ ব্যাপারে বিস্তারিত পড়ুন জাতীয় পত্রিকায়)