রাজশাহী জেলার চারঘাটের আলোচিত তপু হত্যা মামলার পলাতক আসামি দীর্ঘ ৮ বছর পর সিআইডি’র হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মেহেদি হাসান চারঘাট উপজেলার সাদিপুর গ্রামের মান্নানের ছেলে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান সিআইডি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানান, সিআইডি রাজশাহীর বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, পিপিএম এর সার্বিক নির্দেশনায় এলআইসি, সিআইডি, ঢাকা’র সহায়তায় প্রযুক্তির ব্যবহার করে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আশরাফুল আলম গত বুধবার জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানার দেওয়ানগঞ্জ বাজার হতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে চারঘাট থানার মোক্তারপুর আন্ধারীপাড়া গ্রামের রেজ্জাক আলীর ছেলে তপু (১৯) এর সাথে একই গ্রামের মোঃ রেন্টুর মেয়ে রাকা (১৮) এর প্রেমের সম্পর্ক করে বিবাহ করে। রেজ্জাক আলীর তালাকপ্রাপ্ত ১ম স্ত্রী মোসাঃ চম্পা বেগমের ছেলে তপুকে নিয়ে চারঘাটে বসবাস করতেন। তার পরে রেজ্জাক আলী কাঁচামালের ব্যবসার কাজে সিরাজগঞ্জ যায়।
এরপর তপু নিখোঁজ হলে তার লাঁশ গত ১২১৪ সলে ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে আস্করপুর মাঠের মধ্যে আখক্ষেতে পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় রেজ্জাক আলী ৮ জনের নামে চারঘাট থানায় মামলা করে। থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত শেষে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলার বাদী বিজ্ঞ আদালতে চারঘাট থানা পুলিশ রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজী করলে আদালত মামলাটি পিবিআই, রাজশাহীকে তদন্তের আদেশ প্রদান করেন। পিবিআই রাজশাহী তদন্ত শেষে পুনরায় ৫ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। বাদী পুণরায় চার্জশীটের রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজী দিলে আদালত মামলাটি সিআইডি, রাজশাহীকে তদন্তের আদেশ দেন। সিআইডির এসআই আশরাফুল আলম মামলাটি তদন্ত করেন। উল্লেখ্য তপুর স্ত্রী রাকার সাথে ১নং আসামি মামুন ও ২ নং আসামি মিঠু’র পরকীয়ার জেরে তপুকে হত্যা করে লাঁশ আখক্ষেতে ফেলে রাখে।