সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাহুকায় রাসিদা খাতুন নামে এক নারীকে হাত পা ও মুখ বেঁধে শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে অচেতন অবস্থায় ধর্ষণের শিকার হযেছেন কিনা এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে,।
জানাযায় গত মঙ্গলবার ২৯ আগষ্ট ভোরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাহুকায় রাসিদা খাতুন বয়স ৩৮ কে অচেতন অবস্থায় রাতভর শারীরিক নির্যাতনে অভিযোগ উঠেছে। বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা।
বাহুকা কলেজের দক্ষিণ পার্শ্বে মল্লিক হোসেনের বাড়িতে ঘরে সিধঁকেে প্রবেশ করে বখাটে।
জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় ওই নারী রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তার কাচা ঘরের সিধকেটে ঘরে প্রবেশ করে বখাটে। এক প্রকার ঘুমের ঔষধ চোখে স্পে করলেই ঘুমিয়ে যায় রাশিদা। ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় ওই নারীকে হাত পা ও মুখ বেঁধে রাতভর করতে থাকে শারীরিক নির্যাতন।
প্রতিবেশী আমজাদ হোসেনের স্ত্রী বলেন প্রতিদিন ফজরের নামাজের সময় রাশিদা কথা শোনা গেলেও ঔই দিন কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির গেটে যেতেই চোখে পড়ে সিধকাটা। এমতাবস্থায় তার স্বামীকে খবর দিলে ঘরে ঢুকেই দেখতে পান হাত পা ও মুখ বাঁধা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।শারীরিক অবস্থা উন্নতি হওয়ায় বাড়িতে এসেছে।,
রাশিদা খাতুনের স্বামী তুহাদ চৌধুরী বলেন আমি এর সঠিক বিচার চাই। যে এই কাজ করেছে রাশিদা তাকে চিনেছে।আমরা পুলিশ কে সব বলেছি।এলাকার কিছু মুরুব্বি আমাদের কাছে মিমাংসা করার সময় চেয়েছিলো। কিন্তু ঐই ছেলে এখন ধরা ছোয়ার বাহিরে। নানা কারণে মেডিক্যাল পরিক্ষা করতে পারি নাই। আগামীকাল হাসপাতালে যাবো পরিক্ষা করতে।তারপর আমরা আইনের আশ্রয় নিবো।,
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি অপারেশন সুমন দাস বলেন ইতিমধ্যে পুলিশ রাসিদা খাতুনের সার্বিক খোজ খবর নিয়েছে ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা এজন্য পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছি।কিন্তু তারা নানা অযুহাত দেখে বাড়ি চলে যায়। তবে রাশিদার বর্ণনা অনুযায়ী যেই দোষী হোক না কেনো আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।