সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: তানভীর ইমাম এমপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে সভাপতির ছেলে ও ভাতিজীকে নিয়োগ দেওয়ায় এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এমন কি নিয়োগ পরীক্ষায় অন্যান্য প্রার্থীরা আবেদন করলেও পাতানো নিয়োগে সভাপতি ছেলে ও ভাতিজীকে নিয়োগ দিবে বলে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন না। তবে প্রক্সি হিসেবে সভাপতির ভাতিজা ও ভাতিজীরা অংশ গ্রহন করে নিয়োগ সম্পুর্ন করেন। ঘটনাটি উল্লাপাড়া উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের রাউতান দাখিল মাদ্রাসায় ঘটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, (২৫ আগষ্ট) শুক্রবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের রাউতান দাখিল মাদ্রাসায় ৩টি-সুপার, আয়া ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় মাদ্রাসায় সভাপতি ছেলে আতোয়ার রহমান, টুম্পা খাতুন কে নিয়োগ দেওয়া হবে অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন না। পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে না ভেবে পুর্বপরিকল্পিতভাবে সভাপতি ৩ জন ভাতিজা ও ৩ ভাতিজী আবেদন করান। আজ নিয়োগ পরীক্ষায় আয়া পদে ৪জন ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে ৪জন পরীক্ষা দেন। পরীক্ষা শেষে সভাপতির ছেলে আতোয়ার ও ভাতিজী টুম্পাকে নিয়োগের জন্য মনোনিত করেন।
একটি মাদ্রাসায় এমন প্রকাশ্য নিয়োগ বাণিজ্যের কারণে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি ও পাতানো নিয়োগ শিক্ষা বিভাগ সহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, তানভীর ইমাম এমপি’র পরিচয় ভাঙ্গিয়ে সভাপতি আব্দুল হান্নান তার ছেলে ও ভাতিজীকে নিয়োগ প্রদান করেছে। এতে আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি ক্ষতি হয়েছে।
এসব বিষয়ে রাউতান দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি আবু হান্নান বলেন, আমার ছেলে আতোয়ার ও ভাতিজী টুম্পা নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়ায় আমি নিয়োগ বোর্ডে সভাপতি ছিলাম না। দূর্নীতি হয়েছে কিনা বলতে পারব না। নিয়োগ কমিটি সভাপতি, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বারিকুল ইসলাম দুলাল সভাপতিত্বে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পুর্ন হয়েছে।’
নিয়োগ কমিটি সভাপতি, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বারিকুল ইসলাম দুলাল বলেন, কোথায় কোথায় আমার স্বাক্ষর নিল ঢাকার স্যাররা। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।
নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম শামসুল হক জানান, নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা নিয়েছি। আমি কিছু বলতে পারব না।’