রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কামারপাড়া বাজারে জনসাধারণের চলাচলের জন্য সরকারি ভাবে নির্মিত ড্রেনের উপর অবৈধ ভাবে সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। গত ১৬ আগষ্ট (বুধবার) সন্ধ্যায় সিঁড়ি নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হন সিঁড়ি নির্মাণকারী আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে-আব্দুল আলিম।
এসময় তারা বলেন, এ বিষয়ে প্রশ্ন করার আগে খতিয়ান নিয়ে আসো। রাস্তাটিও নাকি তাদের নিজেদের জমির উপর রয়েছে। এছাড়াও তাদের অনেক বড় বড় সাংবাদিক রয়েছেন বলে উচ্চ স্বরে কথা বলতে থাকে।
ঘটনাটি উপস্থিত সাংবাদিকগণ তাদের ক্যামেরায় ধারণ করেন এবং নিজ নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করেন। বিষয়টি সওজের নজরে আসলে ১৭ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সকালে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে গিয়ে তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলেছেন। পরে দুপুর ১২ টার দিকে থানার পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মোহনপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস।
এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস বলেন, এখানে সিএন্ডবির জায়গায় তারা অবৈধভাবে সিঁড়ি নির্মান করেছে। আমাদের আগে যেহেতু সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এসেছিলেন। তাদের কাছ থেকে এ স্থাপনা নিজ দ্বায়িত্বে সরিয়ে নিতে তিন দিন সময় নিয়েছে এই মার্কেটের মালিকরা। তাই তারা যদি সেই সময়ের মধ্যে এই স্থাপনা উচ্ছেদ না করে, তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এবিষয়ে রাজশাহী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে গিয়ে তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলেছেন। আমরা তাদের এ ব্যাপারে নোটিশ করবো, তারা যদি এ স্থাপনা নিজ থেকে না সরিয়ে নেয়, তাহলে আমরা সেখানে পূর্বের ন্যায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো।
এ রাস্তার ফুটপাত দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং অসাধু ব্যক্তিবর্গ। রাস্তা দখলের বিষয়ে এদেরকে কোন প্রশ্ন করতে গেলে সাংবাদিকরা নানা রকমের আজে-বাজে কথার সম্মুখীন হোন এবং হুমকি-ধামকির সম্মুখীনও হোন সাংবাদিকগণ। রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের বাজারগুলোতে ফুটপাত তৈরি করেছেন সরকার জনসাধারণের পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য। আর সেই ফুটপাতগুলো দখল করে যদি অসাধু ব্যবসায়ীরা সিঁড়ি নির্মাণ করে বা ভবন নির্মাণ করে তাহলে পথচারীরা নিশ্চয়ই রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করবে এবং সড়কে বেড়ে যাবে দুর্ঘটনা, বিগত দিনে মোহনপুরে প্রাণ হারিয়েছে অনেক মানুষ এবং আগামীতেও প্রাণ হারাবে অসংখ্য সাধারন মানুষ।