রাজশাহীর বাঘায় বৃদ্ধ পিতাকে হত্যা করায় ঘাতক সন্তানকে আটক করে পুলিশ ডেকে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা।
রাজশাহীর বাঘায় রুস্তম আলী নামে এক বৃদ্ধ পিতাকে হত্যা করে পালিয়েছিল তার ছেলে শুকুর আলী। অত:পর হত্যার দায় স্বীকার করেছে ঘাতক সন্তান শুকুর আলী। এ ঘটনায় পুলিশের উপর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার ১৯ ঘন্টা পর মিরগঞ্জ এলাকার হাবিবুরের মোড়ে রাত ১১ টায় সময়। শুকুর আলীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তখন স্থানীয়ারা শুকুর আলীকে আটক করে রেখে বাঘা থানা পুলিশকে জানায়। পরে বাঘা থানার পুলিশ এসে শুকুর আলীকে আটক করে নিয়ে যান ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে , সোমবার (৮ আগষ্ট) ভোর আনুমানিক সাড়ে ৪ টায় বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হরিরামপুর পাকারপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে মেহগোনির গাছ বিক্রী ও জমি জমা সংক্রান্ত বিবাদের জের ধরে বৃদ্ধ পিতা রুস্তম আলীকে (৭৫)। নির্মম ভাবে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় তার ঘাতক সন্তান শুকুর আলী (৩৫)। খবর পেয়ে পুলিশ লাঁশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে প্রেরণ করেন।
কিছুদিন ধরে বাবার গাছ বিক্রি করে ছেলে টাকা নিবে বলে জানায়। গাছ বিক্রি করতে বাবা নিষেধ করে ছেলেকে। এ নিয়ে সোমবার ভোর রাতের ধারালো হাসুয়া দিয়ে বাবা রুস্তম আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে ছেলে শুকুর আলী। তবে শুকুর আলীর মাথায় সমস্যা আছে বলে জানান গ্রামবাসী। কিছু দিন আগেও এক মহিলাকে মারধর ও হাসুয়া দিকে কুপিয়ে জখম করে ৫০ হাজার টাকা গ্রাম্য শালিসে জরিমানা দেয় বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বাঘা থানা ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলাম জানান, নিহত রুস্তুম আলীর বড় ছেলে নজরুল ইসলাম, শুকুর আলীকে আসামী করে বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নাম্বার ৯ তারিখ ৮/৮/২৩ ধারা ৩০২ । একজন সন্তান কর্তৃক তার পিতা মার্ডার হবে এটা অত্যান্ত দু:খ জনক ঘটনা। আমি খবরটি পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং খুব মর্মাহত হয়। আর ঠিক তখন থেকে শুকুর আলীকে মোবাইল ট্যাকিং সহ বিভিন্ন সোর্স মাধ্যমে খুজতে থাকি। সকালে সে ঢাকার পথে রওনা হয়েছিল। তবে রাতে সে পুনরায় পাশের গ্রাম মীরগঞ্জে ফিরে আসে। সেখানে অভিযান চালিয়ে আমরা তাকে আটক করি। সে আমাদের কাছে পিতাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তাকে ৯ আগস্ট বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ।