সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ২২শে শ্রাবন ১৪৩০ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর ৮২তম মহাপ্রয়াণ দিবস। দিবসটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। সকাল ১১:৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।,
সকাল ১১:৪৫ টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। উপাচার্য মহোদয় তাঁর বক্তব্যে বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি জাতিসত্তার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তিনি বাংলা সাহিত্যের একমাত্র নোবেল বিজয়ী। বাঙালি সংস্কৃতি বিনির্মাণে রয়েছে তাঁর অনন্য অবদান। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে কবির গান ও কবিতা মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছে; শক্তি যুগিয়েছে।তিনি আনাদের জাতীয় সংগীতের স্রষ্টা।
এই মহান কবির স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়’। কবির মহান সৃষ্টিকর্মকে বিদ্যায়তনিক চর্চার অন্তর্ভুক্ত করে নবীন প্রজন্মকে রবীন্দ্র ভাবধারায় আলোকিত করতে আমরা নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছি। কবির প্রয়াণ দিবসে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কবিকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।,
উপাচার্য মহোদয় আরও বলেন, এই শোকাবহ আগস্টেই আমরা হারিয়েছি বাঙালি জাতিসত্তার রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ই আগস্টে নিহত সকলের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্মাণ, রবীন্দ্র কবিতার চলচ্চিত্রায়িণ ‘বাঁশি’। সবশেষে সত্যজিৎ রায় কর্তৃক নির্মিত ডকুমেন্টারি ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ প্রদর্শিত হয়।,