এন্ট্রি টেরোরিজম ইউনিটের অভিযানে অবৈধ ভাবে ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যেমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রানীবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে এন্ট্রি টেরোরিজম ইউনিট। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান রাজশাহী বিভাগীয় এন্ট্রি টেরোরিজম ইউনিটের এডিসি রাকিবুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোহনপুর উপজেলার ঘাসিগ্রাম এলাকার বজলুর রশিদের ছেলে মাহবুবুর রশিদ (৪২) ও চারঘাট উপজেলার গৌড়শহর গ্রামের আসাদ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃত রশিদ ও মিজানুর রাজশাহী নগরীতে থেকে দীর্ঘদিন যাবত ব্যাংক, বিমা বা অন্য কোন আর্থীক প্রতিষ্ঠান বা মোবাইল আর্থীক সেবাদাকারি প্রতিষ্ঠান হতে কোন ইলেকট্রনিক্স বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারি অনুমোতি ছাড়া ই-ট্রানজেকশন করে অর্থ পাচার করে আসছিলেন।
দীর্ঘদিন যাবত সংঘবদ্ধ ভাবে অবৈধ ‘এক্সনেস অ্যাপ’ নামক অ্যাপ ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার উদ্দেশ্যে আর্থিক সেবা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান নগদ, রকেট, বিকাশে এবাং ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করতো। পরে ওই অর্থ অবৈধ ভাবে ই-ট্রানজেকশন করে ডলারে রুপান্তর করে বিদেশে পাচার করে নিজেদের লভ্যাংশ রেখে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেন তারা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এন্ট্রি টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা রানীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ই-ট্রানজেকশন কাজে ব্যবহারকৃত ল্যাপটপ, মোবাইলসহ তাদের হাতে নাতে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় আরএমপি বোয়ালিয়া মডেল থানায় এন্ট্রি টেরোরিজম ইউনিটের এসআই গোলাম মাওলা বাদি হয়ে ডিজিটাল নিরাপ্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় বলে জানান বোয়ালিয়া মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ারদি।