চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা মাংশ বাজারের নির্দিষ্ট ছাউনিতর মাংশ বিক্রি না করে মাছ বাজারের জায়গা দখল করে গরু মহিষের মাংশ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন অসহায় গরীব মাছ ব্যাবসায়ীরা।জানা গেছে, মাংশের বাজারের প্রবেশ পথ দখল করে মাছ ও পোল্ট্রি মুরগীর বিক্রি করছিলো বেশ কয়েকজন। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়ে বাজারে আসা লোকজন।বিষয় টি দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা জানতে পেরে গত বুধবার সরেজমিন পরিদর্শন করে ও রাস্তা দখল করে থাকা দোকান সরিয়ে নেবার নির্দেশ দেন। সকলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাদের দোকান সরিয়ে নিলেও সিরাজ কসাই তার দোকানটি সরিয়ে নেননি।মাছ ব্যাবসায়ীরা জানান সিরাজ কসাই নির্দিষ্ট চান্নী রেখে মাছ ব্যাবসায়ীদের তুলে দিয়ে সেই জায়গা দখল করে মাংশ বিক্রি করছে।এতে করে বাজারে মাছ বিক্রেতা সংখ্যালঘু কয়েকজন সহ মাছ ব্যাবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।তারা জানান এখন আমরা মাছ বিক্রি করবো কোথায়।সিরাজ কসাই নির্দিষ্ট মাংশ চান্নীতে চলে গেলে আমরা এখানে বসে মাছ বিক্রি করতে পারবো।আর মাছ বাজারের পরিবেশও ঠিক থাকবে। মাংশ বাজারের বেশ কয়েকজন মাংশ বিক্রেতা জানান এভাবে সিরাজ কসাই যদি নিয়ম ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নির্দিষ্ট ছাউনিতে মাংশ বিক্রি না করে মাছ ব্যাবসায়ীদের জায়গা দখল করে মাংশ বিক্রি করে তাহলে আমরাই বা কেন ছাউনিতে মাংশ বিক্রি করবো।তাহলে আমরাও আমাদের সুবিধামত মাছ ব্যাবসায়ীদের জায়গা দখল করে মাংশ বিক্রি করবো।সিরাজ কসাই এর কারনে এ জায়গাটিতে দিনের বেলায় কোন মাছ ব্যাবসায়ী বসতে পারেনা।রাতে এক থেকে দুজন বসে একদিকে।ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মাহাতাব হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের নির্দেশ ক্রমে গত বৃহস্পতিবার সকলকে সরিয়ে দিয়েছি।তবে সিরাজ কসাই কে সরিয়ে নেবার কথা বললেও তিনি কর্নপাত করেন নি।বিষয়টি নিয়ে মাছ ও মাংশ বাজারের ব্যাবসায়ীদের মধ্য চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।বিষয়টির প্রতি সুনজর দিয়ে সিরাজ কসাই এর অবৈধ দখল কৃত দোকানটি নির্দিষ্ট ছাউনিতে স্থান্তান্তর করে মাছ ও মাংশ বাজারের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।