পরে শোক মজলিসের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মোঃ আলী মোর্তজা। নড়াইল পৌরসভার মেয়র আনজুমান আরা,সৈয়দ মাহবুব আলী জাঈদী, মোঃ আলীরেজা, মোঃ আসগর আলী, মোঃ আব্বাস আলী, মোঃ মনজুরুল ইসলাম, মোঃ আলী হোসেন প্রমুখ।
আলোচকবৃন্দ ইয়াজিদ ও তার দোসরদের এহেন জঘন্য কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং ইমাম হোসাইন (আঃ) এর পবিত্র জীবন আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে সঠিক ইসলাম ধর্মের আলোকে জীবন যাপন করতে আগ্রহী হতে উৎসাহিত করেন।
৬১ হিজরি সনের ১০ ই মুহররম ইরাকের কারবালা প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে স্বৈরাচার, পাপিষ্ঠ, জালিম ইয়াজিদ ও তার সৈন্য বাহিনীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জান্নাতের যুবকদের সর্দার, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রাণ-প্রিয় দৌহিত্র, হযরত ফাতেমা (সাঃ আঃ) ও হজরত আলী (আঃ) এর কলিজার টুকরো হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ) কারবালা প্রান্তরে ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন মনোভাব পোষণ করেন। ইয়াজিদ ও তার দোসররা কুফার পথে কারবালা নামক স্থানে ইমাম হোসাইন (আঃ) এর পরিবারকে এবং তাঁর সঙ্গী সাথীদের অবরোধ করে তাদের কাছ থেকে জোর পূর্বক বাইয়াত নিতে চাইলে ইমাম হোসাইন (আঃ) বাইয়াত দিতে অস্বীকার করেন এবং সাফ জানিয়ে দেন যে ইয়াজিদের মত দুঃশচরিত্রবান লম্পট,জালিমের হাতে বাইয়াত গ্রহনের কোন প্রশ্নই আসেনা তখন ইয়াজিদ বাহিনী ইমামের কাফেলাকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং খাদ্য ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। অবরুদ্ধ রাখার পর ইমামের পরিবারের শিশু দেরকে সহ যুবকদেরকে ও ইমাম হোসাইন (আঃ) কে ক্ষুধা ও তৃষ্ণার্ত অবস্থায় ১০ই মুহাররম ইমাম হোসাইন আঃ সহ ৭২ জনকে নির্মম ভাবে হত্যা করে। এ ঘটনার স্মরণকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর আশুরার প্রথম দিন হতে দশম দিন প্রজন্ত ইমাম হোসাইন (আঃ) আজাদারি অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।
কারবালার ‘শোকাবহ এবং হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল’ এই দিনটি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে মুসলিম বিশ্বে এ দিনটি গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শনিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করবে। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যম এবং স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এই দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে।