আলমডাঙ্গা সমাজ সেবা অফিস দুর্নিতির আঁখড়ায় পরিনত।কর্মকর্তা কর্মচারির লড়াই।বদলী হলেন কর্মচারি মনিরুজ্জামান।বলির
আলমডাঙ্গা উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের উচ্চমান সহকারি যুক্ত হিসাব রক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান লিখিত অভিযোগ করে বলেন উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার নাজমুল হোসেন একজন দুর্নিতি বাজ ও ঘুষখোর কর্মকর্তা,সে যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৮/১০ লক্ষ টাকা ঘুষ ও দুর্নিতি করে আত্মসাত করেছে।সে লিখিত অভিযোগে আরো জানান সমাজ সেবা অফিসার নাজমুল হোসেন ২০২১ সালে আলমডাঙ্গায় যোগদানের পর হতে বিগত ২০২১/২২/২০২২/২৩ অর্থ বছরে অধিদপ্তর থেকে যে সমস্ত বরাদ্ধ পাওয়া গিয়েছিল তার সব টাকা ভুয়া বিল ভাউচার করে, মালামাল ক্রয় না করে আত্মসাত করেছে।দুটি অর্থ বছরে আনুমানিক প্রায় ৬/৭ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেছেন।সে জানান আমি বিধি মোতাবেক মালামাল ক্রয় করে বিল করার জন্য বল্লে সমাজ সেবা অফিসার রাগাম্বিত হয়ে বলেন আমি ডি,ডি,ও।এ সব ব্যাপারে আপনাকে মাথা ঘামাতে হবে না।এ বিষয়ে অফিসে তদন্ত করলে ভাউচার মোতাবেক কোন মালামাল পাওয়া যাবে না।তিনি অফিসের ল্যাপটপ তার বাসায় নিয়ে গিয়ে তার ভাইকে ব্যাবহার করতে দেয়,সে ব্যাবসায়িক কাজে ব্যাবহার করে যখন ল্যাপটপ টি নষ্ট হয়ে যায় তখন অফিসে এসে অফিস সহকারিকে ব্যাবহার করতে বলেন,আরও বলেন আপনাকে দুইটি ল্যাপটপ দিলাম।অফিস সহকারি ল্যাপটপ সারতে ব্যার্থ হয়ে সেটা সমাজ সেবা অফিসারের নিকট ফেরত দেন।সমাজ সেবা কর্মকর্তা নাজমুল হোসেনের দুর্নিতি সম্পর্কে মনিরুজ্জামান আরো জানান সে অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে রোগী কল্যান সমিতির অর্থ ব্যায় করে আসছেন,সে জানায় সমাজ সেবা কর্মকর্তা রোগী কল্যান সমিতির ঔষধ সরবরাহ কারি দোকান হতে প্রতি মাসে ৩/৪ হাজার টাকার ঔষধ নিয়ে সমিতির তহবিল হতে পরিশোধ করে থাকেন।সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহদয় আলমডাঙ্গায় আসলে প্রত্যেক কর্মচারির নিকট থেকে ১ হাজার টাকা করে চাদা নেন।এবং ১৩ টি এতিম খানার নিকট হতে বরাদ্ধ কৃত অর্থের ৪% হারে টাকা আদায় করেছেন,যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।এ ছাড়াও প্রত্যেক এতিমখানা ও স্বেচ্ছা সেবী প্রতিষ্টানের বার্ষিক নীরিক্ষা ও কমিটি অনুমোদনের জন্য ৫ হাহার করে টাকা নিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ করেন।সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে ৩য় কিস্তিতে ১০ লক্ষ টাকা সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋন খাতে বরাদ্ধ পাওয়া যায়।সমাজ সেবা কর্মকর্তা সেই টাকা কোন স্কিম ছাড়াই ১/৬/২০২৩ তারিখে পাশ করে দেন।এবং ৫ টি গ্রামে ২১ জন সদস্যের মাঝে বিতরনের জন্য ইউনিয়ন সমাজ কর্মিদের বাদ দিয়ে নিজের নামে ১২/৬/২৩ ইং তারিখে সোনালী ব্যাংক আলমডাঙ্গা শাখায় তার নিজ নামিয় ব্যাংক হিসেবে জমা করেন।চেক নাম্বার ৩৭৭৫৩৮০,৩৭৭৫৩৮১,৩৭৭৫৩৮২,৩৭৭৫৩৮৩,ও ৩৭৭৫৩৮৪।যে ৫টি গ্রামে ঋন দেবার কথা ছিল সেখানে খোজ নিলেই জানা যাবে ঋনের টাকা বিতরন করেছে কিনা বলে জানান মনিরুজ্জমান।লিখিত অভিযোগে আরও জানান, ২০২২/২৩ অর্থ বছরে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রমে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ আসে।সেই টাকা গত ১১/০৬/২৩ ইং তারিখে সোনালী ব্যাংক আলমডাঙ্গা শাখায় চলতি হিসাব নং-৩১০১৩০২০০০৮৪৭ এর চেক নং-৫৪১০২৫৩ টাকা উত্তোলন করেন।উক্ত টাকা ৩ জন ভিক্ষুক গাংনী মচাই নগর গ্রামের শ্রী মদন দাসের স্ত্রী শ্রমতী সন্ধা রানী দাসি,ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কিতাব আলীর স্ত্রী মোছাঃ রাহেলা খাতুন,ও কুমারি ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের সামসুদ্দিন সর্দারের মেয়ে মোছাঃ রহিমা খাতুন শ্রমতী সন্ধা রানী কে গাভী পালন দেখালেও ৫ হাজার টাকার উৎকোচের বিনিময়ে একটি ভ্যান গাড়ী কিনে দেয়।বাকি ২জন ভিক্ষক কে কোন উপকরন না দিয়ে পুরা টাকা আত্মসাত করেছে বলে লিখিত অভিযোগে জানান।সে আরো জানান উপজেলা কমিটি ও মাননীয় সংসদ সদস্যের কোন অনুমতি ছাড়াই ভাতা বাস্তবায়নের নামে স্বেচ্ছাচারি করে টাকা আত্মসাত করেছে।মনিরুজ্জামান লিখিত অভিযোগে সমস্ত বিষয়ে তদন্ত পুর্বক ব্যাবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন।সে এ বিষয়ে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক,দুর্নিতি দমন কমিশন,সচিব সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয়,পরিচালক প্রশাসন ও অর্থ সমাজ সেবা অধিদপ্তর,জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গা,পরিচালক বিভাগীয় কার্যালয় খুলনা,চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ আলমডাঙ্গা,উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমডাঙ্গা,উপ-পরিচালক জেলা সমাজ সেবা কার্যালয় চুয়াডাঙ্গা,অফিসার ইনচার্জ আলমডাঙ্গা থানা ও আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের ,সভাপতি,সম্পাদক কে অবগতি করেছেন।
এ জাতীয় আরো খবর ....