আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও অফিসার ক্লাবের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খানের বিদায় সংর্বধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব হোসেন।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার বিদায়ী জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান।তিনি এ সময় বলেন চুয়াডাঙ্গা জেলায় জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করার সময় মনে নানা শঙ্কা নিয়ে যোগদান করেছিলাম।তখন শুনেছি চুয়াডাঙ্গা জেলার জনপদ সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্য, কিন্ত এখানে যোগদান করার পর আমার ধারনা পাল্টে গেল।চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষ অতিথি অপ্যায়নে কোন কার্পন্য করেন না।তাই আমার কাছে মনে হয়েছে যে কোন জেলার চেয়ে চুয়াডাঙ্গার মানুষ খুবই ভাল,আমি যেখানেই থাকি আপনাদের কথা কখনও ভুলব না।আমি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনে যে নিয়োগ দিয়েছি তা সম্পুর্ন দুর্নীতি মুক্ত।যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা জানেন।শিক্ষক এবং কর্মচারি নিয়োগ দিয়ে আমি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে উন্নয়ন মুলক কাজগুলি সম্পন্ন করতে আপ্রান চেষ্টা করেছি।আপনারা আমাকে ও আমার পরিবারকে দোয়া করবেন।সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী মেহনাজ খান বাঁধন,পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু,উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস,সহকারি কমিশনার ভুমি রেজওয়ানা নাহিদ,সহকারি কমিশানার শেখ মোহাম্মদ রাসেল,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার।উপজেলা রিসোর্স ইনেস্ট্রাকটর জামাল হোসেনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহিল কাফি,কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোহেল রানা,সোনালী ব্যাংকের মঢানেজার মোঃ আব্দুল আওয়াল,খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা লিটন কুমার,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত,তথ্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস,সরতারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান,ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আসাবুল হক মিকা,মখলেসুর রহমান সিলন,মিনহাজ উদ্দিন বিশ্বাস,সোহানুর রহমান সোহান,বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন পারভেজ,প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু,সাধারন সম্পাদক হামিদুল ইসলাম,রুপালী ব্যাংকের ম্যানেজার আব্দুল খালেক,প্রমুখ।সভা শেষে জেলা প্রশাসককে ক্রেস্ট উপহার দেন।ডিসি পত্নিকেও উপহার দেওয়া হয়।