মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নির্বাচনী কার্যক্রমে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আগামীকাল বুধবার (১৯ জুলাই) পূর্ব ঘোষিত এ নির্বাচনের কথা ছিল।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিন প্রধান এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম রাখাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাদীপক্ষের ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রেসক্লাবে কোনো কার্যনির্বাহী কমিটি যাতে গঠন না করা হয়। সে জন্য বিবাদীদের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে উল্লাপাড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক আহসান হাবীব সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে না। সে মর্মে তিনদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন, আহবায়ক ও ভূতপূর্ব আহবায়ক কমিটিকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছিল আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে নতুন অন্তর্ভুক্ত বৈধ ১৯ সদস্যের মধ্য থেকে ৫ জনকে অন্তভূক্ত করে গত ২২ জুন সর্বমোট ৫৫ জনের একটি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। এরপর মঙ্গলবার (১১ জুলাই) আদালতে মামলা দায়ের করেন দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি জেহাদুল ইসলাম, জাগোনিউজ২৪.কমের জেলা প্রতিনিধি এম এ মালেক ও দৈনিক বর্তমানের জেলা প্রতিনিধি ইউসুফ দেওয়ান রাজু। এ তিনজন বাদী স্বাক্ষরিত পিটিশনটিতে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ্যাড. মো. রেজাউল বারি রন্টুকে ১নং করে মোট ৯ জনকে বিবাদী করা হয়।
মামলার বাদী জেহাদুল ইসলাম বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী চক্র সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবকে কুক্ষিগত করে রাখতে চায়। এর আগেও আমাদের বাদ দিয়ে ২৩ মার্চ ২০২৩ তারিখে পাঁতানো নির্বাচন করার পাঁয়তারা করেছিল। সেই নির্বাচনের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আদালত। একই কৌশলেও আবারও আমাদের বাদ দিয়ে চক্রটি অগঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পাতানো নির্বাচনের পাঁয়তারা করলে সঠিক বিচারের জন্য আমরা আবারও আদালতের শরণাপন্ন হই। এরপর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।