রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ব্যড়পাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসা কে কেন্দ্র করে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। নিহতের নাম, হাবিব (৩৮)। লাঁশ ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকেলে নিহতর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহত হাবিব ব্যড়পাড়া গ্রামের গোলাপের ছেলে। এ তথ্য নিশ্চিৎ করেন আরএমপি দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান।
জানা গেছে, গত ১০ তারিখ রাতে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সোনায়কান্দি এলাকার মৃত জালেপের ছেলে ঈশার সাথে ফেনসিডিলের টাকা নিয়ে দন্ড বাধে ব্যরপাড়া গ্রামের গোলাপের ছেলে হাবিবের সাথে। এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে ঈশার নেতৃত্বে অজ্ঞাত ৭ থেকে ৮ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় হাবিবের উপরে। এসময় ঈশা চাকু দিয়ে হাবিবকে আঘাত করে ও অন্যরা মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এসময় ঘটনা স্থলে লুটিয়ে পড়ে হাবিব। পরে স্থানিয়রা দ্রুত হাবিবকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার্ট করেন। ঢাকায় হাসপাতালে ৮ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত কাল ইন্তেকাল করেন হাবিব। মঙ্গলবার ময়না তদন্ত শেষে নিহতর লাঁশ ব্যরপাড়া গ্রামের নিহত হাবিবের পিতা গোলাপের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাত ১০ টার দিকে নিহত হাবিবকে পারিবারিক গোরস্থানে ব্যড়পাড়ায় দাফন করা হবে।
স্থানিয় সূত্রে জানা গেছে, সোনাইকান্দি এলাকার মাদকের গটফাদার মৃত বাবলুর ছেলে সোহেল। সোহেল ওই এলাকার পাইকাড়ি ফেনসিডিল ব্যবসায়ী। সোহেল ভারত থেকে হাজার হাজার পিচ ফেনসিডিল নিয়ে আনার পরে ওই এলাকায় খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ছাপলাই করে থাকেন। সোনায়কান্দি ব্যড়পাড়াসহ আশে পাসের সকল খুচরা ফেনসিডিল ব্যবসায়ীরা সোহেলের কাছে থেকে নিয়ে খুচরা বিক্রি করতে হয়। মাদক সম্রাট সোহেলের ফেনসিডিলের টাকার জন্য ঈশা গুপ ও হাবিব গুপের সাথে দন্ড বাধে। আর সোনাইকান্দি মাদক সিন্ডিকেটের হোতা মৃত বাবলুর ছেলে সোহেল। এছাড়াও ওই মাদক সিন্ডিকেট পুরা নিয়ন্ত্রন করেন সোহেল। সোহেলের কাছে থেকে ফেনসিডিল নিয়ে খুচরা বিক্রি করেন ইউসুব ঘোষ, হামু, সাগর, ঈশা গুপের সবাই, হাবিব গুপের সবাই। এর আগেও ১ হাজার ফেনসিডিল হারিয়ে যায় সোহেলের। এ কারনে সন্ধ জনক ভাবে ওই এলাকার দুই ব্যক্তিকে সোহেল জরিমানা করে সেই ফেনসিডিলে টাকা বাবদ জমি লিখে নেয়। এতো কিছুর পরেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে প্রশাসনের হাত থেকে ওই এলাকার মাদক সিন্ডিকেটের গটফাদার সোহেল। দ্রুত ওই মাদকের গটফাদার সোহেল কে গ্রেপ্তার করলে ওই এলাকায় মাদক নির্মূল করা সম্ভব বলে মনে করেন এলকার সচেতন মানুষ।
এ বিষয়ে দামকুড়া থানার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান জানান, গত ১০ তারিখ রাতেই নিহত হাবিবের পিতা গোলাপ বাদি হয়ে ১ নং আসামী সোনায়কান্দি গ্রামের মৃত জালেপের ছেলেসহ আরো ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞত ৭ থেকে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গত রোববার ১ নং আসামী ঈশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই সাথে হাবিবকে আঘাত করা ধারালো অস্ত্র চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। পলাতক অসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানান ওসি। তবে দ্রুত মাদক সিন্ডিকেটের মুল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।