দলীয় কার্যালয়ে ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার রাতে
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি চয়ন
ইসলামের সমর্থকদের সাথে শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক ও শাহজাদপুর পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদীর সমর্থকদের হামলা
মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের দুইজন আহত হয়েছে। এরা হলেন,
শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির টিপু (৫৪) ও
যুবলীগ নেতা টিয়া(৩৪) গুরুতর আহত টিপুরে প্রথমে সিরাজগঞ্জ ও পরে ঢাকা
পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে পুলিশ ও দলীয় সূত্র জানায়, গত ১১ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরের দিকে
শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে দলের সভাপতি ও সাবেক এমপি চয়ন
ইসলামের উন্নয়ন মূলক ব্যানার সরিয়ে শাহজাদপুর পৌর মেয়র মনির আক্তার খান
তরু লোদীর ব্যানার লাগানো হয়। বিষয়টি জানতে পেরে চয়ন ইসলামের সমর্থকরা
এসে মেয়রের ব্যানার নরিয়ে পূণঃরায় সভাপতি চয়ন ইসলামের ব্যানার লাগিয়ে
দেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দিনভর উত্তেজনা চলে’। এর জের ধরে ওইদিন রাতে
অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক টিপুকে
মারধর করে তার বাম হাত ভেঙ্গে দেয় মেয়রের সমর্থকরা। পরে টিপুর সমর্থকরা
হামলা চালিয়ে টিয়াকে মারধর করে আহত করে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, সভাপতি চয়ন ইসলামের
ব্যানার সরিয়ে মেয়র তরু লোদীর ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে উপজেলা
আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে মারধর করা হয়েছে। এ খবর পেয়ে পুলিশের
একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায়
কোন অভিযোগ দেয়নি। অপর পক্ষের কাউকে মারধর করা হয়েছে কিনা তা এখনও কেউ
জানায়নি।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম বলেন,
আমি ঢাকায় অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ খবর পেলাম দলীয় অফিসে মেয়রের লোকজন এসে
আমাকে গালিগালজ করে ও পার্টি অফিসে লাগানো আমার উন্নয়ন কর্মকান্ডের
ব্যানার সরিয়ে ওই স্থানে মেয়রের ব্যানার লাগায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী
লীগের নেতা-কর্মীরা এসে মেয়রের ব্যানার খুলে আমার ব্যানার লাগায়। বিষয়টি
মিমাংসার জন্য আমি শাহজাদপুরে এসে মেয়রের সাথে কথা বলি। তাকে বারবার ফোন
দিয়ে দেখা করতে চাই। কিন্তু সে সময় দেয়নি। এ অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির টিপুকে মারধর করা
হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন।
এ বিষয়ে জানতে শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর
মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদীর মোবাইল ফোনে বার বার কল করা হলেও তিনি
রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়রের সমর্থক
হিসেবে পরিচিত আমিনুল ইসলাম সাহু বলেন, ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে
দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। টিয়া নামে মেয়র গ্রুপের একজন
যুবলীগ নেতাও আহত হয়েছে। এ বিষয়ে দু‘পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা
হচ্ছে।’